/

কঙ্গনাকে বিজেপি সাংসদের হুঁশিয়ারি

15 mins read

কঙ্গনাকে বিজেপি সাংসদের হুঁশিয়ারি

মনোজ তিওয়ারি ও কঙ্গনা রনৌত বিতর্ক যেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌতের নিত্য দিনের সঙ্গী। তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠলেও ক্ষান্ত হন না। যার কারণে আইনি বিপাকেও পড়তে হয়েছে বলিউডের কন্ট্রোভার্সি কুইনকে। তবু কঙ্গনা আছেন কঙ্গনাতেই! এবার এই বলিউড অভিনেত্রীকে ‘সংযত’ হওয়ার জন্য বলেছেন বিজেপি সাংসদ ও গায়ক-অভিনেতা মনোজ তিওয়ারি। এই বিজেপি সাংসদ বলেন, কারও সমালোচনা করার সময় সেই ব্যক্তির প্রতি যেন শ্রদ্ধাশীল থাকেন কঙ্গনা। আমার জানতে ইচ্ছে হয় কঙ্গনা কবে রাজনীতিতে আসছেন।
বিনোদন দুনিয়া হোক কিংবা রাজনীতি, প্রায় সব ব্যাপারেই মন্তব্য করবেনই তিনি। এবং তাঁর সেইসব বক্তব্যের কারণে যে বিতর্ক তৈরি হয় মুহূর্তেই, সেকথা বলার জন্য কোনও পুরস্কার নেই। একদিকে মুম্বাইকে পাক-অধুষ্যিত কাশ্মীরের সঙ্গে যেমন তুলনা করেছেন, অন্যদিকে সরকার কর্তৃক কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হতেই নিজের হতাশার কথা জানিয়েছিলেন কঙ্গনা। তা নিয়েও বেফাঁস মন্তব্য করেন এই অভিনেত্রী। দিল্লি বর্ডারে আন্দোলনরত কৃষক আন্দোলনকে ‘খালিস্তানি আন্দোলন’ বলে উল্লেখ করেন! শুধু তাই নয়, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের উদ্দেশেও বিতর্কিত মন্তব্য করতে ছাড়েননি কঙ্গনা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলিউডের এই বিতর্কিত অভিনেত্রীর সমন্ধে বলতে গিয়ে তারকা-বিজেপি সাংসদ মনোজ বলেন, ‘এমন মন্তব্য করা উচিৎ নয় যা কাউকে আঘাত দেয়। আর তাছাড়া শিল্পীদেরও একটা দায়িত্ব থাকে। তাহলে কঙ্গনা সরাসরি বলে দিক যে উনি রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন কি না। ওনার বিরুপ মন্তব্যে একটা দল নিয়ে সমালোচনা হয়। অবশ্যই উনি কোনো বিশেষ দলের মুখপাত্র নন।’ মনোজ আরও বলেন, ‘সুশান্ত সিং রাজপুতের রহস্য-মৃত্যুর পর কঙ্গনা যেভাবে মন্তব্য করেছিলেন, প্রতিবাদ করেছিলেন তা সমর্থন করি। মহারাষ্ট্র সরকারও সেই সময়ে উনার বিরুদ্ধে একটু বেশি কঠোরতা দেখিয়েছিলেন। তবে তা সত্বেও বলি, কঙ্গনা যা যা কথা বলেছেন মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে তা ওরকম করে বলাটা মোটেই ঠিক হয়নি। উনার আরও সংযত থাকা উচিৎ ছিল। তাছাড়া কাউকে কটুক্তি করা আমাদের দেশের সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে না।’
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের উদ্দেশে অসম্মানজনক কথা বলেছিলেন কঙ্গনা। সেই প্রসঙ্গেও অভিনেত্রীকে একহাত নিয়েছেন এই বিজেপি সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকা ব্যক্তিকে সম্মান জানানো উচিৎ। এত গুরুত্বপূর্ণ পদে উনি বসে আছেন যখন, তখন অবশ্যই সম্মান করা প্রয়োজন। প্রতিবাদ করবে না কেন? কিন্তু তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই প্রতিবাদ করা উচিৎ। মুখের ভাষার প্রতি আরও সংযম থাকা উচিৎ কঙ্গনার। কখনও কখনও উনার কথায় সেই মর্যাদাটুকুর লেশমাত্র থাকে না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Latest from Blog

x
English version