///

কথা ও কাজের মিল থাকলে কোরিয়ার শ্রমবাজারে চাহিদা বাড়বে

20 mins read

কথা ও কাজের মিল থাকলে কোরিয়ার শ্রমবাজারে চাহিদা বাড়বে

বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রমবাজারে যে সংখ্যা দেওয়া হয়েছে, এটা অনেক কম। বাড়াতে হবে। বাড়ানো নির্ভর করবে আমাদের ওপর। আমরা যদি যা বলি, ঠিকমতো তাই করি তাহলে অটোমেটিকলি বাড়বে।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোমবার সন্ধ্যায় ১২৩ জন কর্মী দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রম বাজারে প্রবেশের পূর্বে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে ওই দেশে শ্রমিক বাড়ানোর বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এ মন্তব্য করেন।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, আজকে কোরিয়াতে যে বাংলাদেশি শ্রমিকেরা যাচ্ছে, এটা আমার কাছে মনে হয় বিরাট একটি সাফল্য। কারণ, কোরিয়ান সরকার যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর সেট করেছে, আমরা সেই হিসাবেই সবকিছু করে ওদেরকে পাঠাচ্ছি। আমার বিশ্বাস, ওখানে গিয়ে যদি আমাদের আচরণ ঠিক রাখি, ওখানকার সমাজের সঙ্গে একটু মিশে যাই, তাহলে কিন্তু কোন সমস্যা হবে না।
মন্ত্রী বলেন, বড় জিনিস হল, কোরিয়ান ভাষা শিখেছি এটা নয়। সমাজের সঙ্গে মিলে মিশে চলাটাই হলো বড় জিনিস। আমাদেরকে ওই খানকার সমাজের সঙ্গে, কালচারালের সঙ্গে মিশে যাওয়ার মনোবল নিয়ে যেতে হবে। তাহলে কোন সমস্যা হবে না। আমরা কিন্তু অনেক আগে থেকেই আন্তরিক ভাবে যুক্ত আছি। আমার বিশ্বাস আগামীতে আরও বেশি মানুষ যাবে।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের সমস্যার প্রসঙ্গে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, বর্তমানে মালয়েশিয়ার কর্মসংস্থানমন্ত্রী আমেরিকা রয়েছেন। ওনি আসার পর একটি তারিখ ঠিক করা হবে। আমরা আশা করছি আগামী ২৫-২৬ তারিখ একটি মিটিং হবে। মিটিং বসেই ধীরে ধীরে একটি একটি করে সমস্যার সমাধান হবে।
সমাধানের আশার আলো প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইমরান আহমদ বলেন, আমি তো আশার আলো নিয়েই বসে আছি, তিন বছর সাড়ে তিন বছর হয়ে গেছে। অবশ্যই আশার আলো আছে। সেখানেও আমাদের শ্রমিকদের চাহিদা রয়েছে।
এ সময় তাঁর সঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন ও কোরিয়ার অ্যাম্বাসেডর লি জাং-কেউন সহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিল।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার ও দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের মধ্যে সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ ও ভারসি এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সাজিসেস লিমি (বায়েসেল) এর মাধ্যমে ২০০৮ সন থেকে এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) কর্মসূচির আওতায় জি টু জি পদ্ধতিতে স্বল্প ব্যয়ে উচ্চ বেতনে শিল্প খাতে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মী গমন অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু বৈশ্বিক কোভিড অতিমারির কারণে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় গত এপ্রিল ২০২০ হতে নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ইপিএস কর্মীদের কোরিয়ায় গমন বন্ধ ছিল। বাংলাদেশে কোভিড পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য ভাবে উন্নতির প্রেক্ষিতে নির্ধারিত কোভিড বিধি অনুসরণ করে গত ৯ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে ৪৫ জন কর্মী দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় পুনরায় গমনের সূচনা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৪তম ব্যাচে কোরিয়ান এয়ার কোম্পানির বিশেষ ফ্লাইটে আরও ১২৩ জনসহ মাট ১ হাজার ৪৪৭ জন বাংলাদেশি ইপিএস কর্মী দক্ষিণ কোরিয়ায় গমন করেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মোতাবেক দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের নিকট থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ সাম্প্রতিক বছরগুলাতে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে যা ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের ৮০,৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০২০-২১ অর্থ বছরে ২০৯.১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Latest from Blog

x
English version