
বিশ্বের সব কেন্দ্রীয় ব্যাংক সোনার মজুত বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই চীনও। চলতি বছরের মার্চে অর্থাত্ ধারাবাহিকভাবে পাঁচ মাসের মতো মূল্যবান ধাতুটির মজুত বাড়ালো দেশটি। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।
দ্য পিপলস ব্যাংক অব চায়না মার্চে সোনার মজুত বাড়িয়েছে ১৮ টন। এতে ব্যাংকটির মোট মজুত দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৬৮ টনে। মার্চের আগের চার মাসে মজুত হয় ১০২ টন। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের অনেক দেশ উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও ভূরাজনীতিতে উত্তেজনা বাড়ায় সোনার মজুত বাড়াচ্ছে। বিশ্ব গোল্ড কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে সোনার চাহিদা বাড়ে। এ বছরের জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি সোনা কেনে তুরস্ক, চীন এবং কাজাখস্তান।
গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দামে বড় উত্থান হয়। এক আউন্স সোনার দাম দুই হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এক বছরের বেশি সময় পর সোনার আউন্স দুই হাজার ডলারের ওপরে উঠলো। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাধার পর গত বছরের মার্চে প্রতি আউন্স সোনার দাম দুই হাজার ডলার ছাড়িয়েছিল। এরপর এই প্রথম দামি এই ধাতুটির দাম আবার দুই হাজার ডলার স্পর্শ করলো।
তথ্য পর্যালোনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার আগে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ১ হাজার ৯৮০ ডলার। সেখান থেকে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস ৩ এপ্রিল লেনদেন শুরু হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই দাম কমে প্রতি আউন্স ১ হাজার ৯৫০ ডলারে নেমে যায়।
অবশ্য এই দরপতনের পর ওই দিনই ঘুরে দাঁড়ায় সোনা। ৩ এপ্রিল লেনদেনের এক পর্যায়ে প্রতি আউন্স সোনার দাম ১ হাজার ৯৯০ ডলারে উঠে যায়। পরের কার্যদিবস ৪ এপ্রিল তা আরও বেড়ে ২ হাজার ২৪ ডলারে ওঠে। পরের কার্যদিবস ৫ এপ্রিলও সোনার দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। এতে ৫ এপ্রিল লেনদেনের এক পর্যায়ে প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৩২ ডলারে উঠে যায়।