শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। সোমবার বিকেল চারটায় রাজধানীর ফুলার রোডের ‘স্মৃতি চিরন্তন’ ভাস্কর্যের সামনে থেকে ছবির হাট পর্যন্ত মৌন পদযাত্রার মধ্য দিয়ে এ আয়োজন শুরু হয়।
ওই পদযাত্রার পর ছবির হাটে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্থিরচিত্রের প্রদর্শনী শুরু হয়। জানা–অজানা এই বুদ্ধিজীবীদের প্রত্যেকের ছবির পাশে তাঁদের সংগ্রাম ও জীবন সম্পর্কে ধারণা দিতে একটি করে প্রবন্ধও তুলে ধরা হয়।ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের নেতারা বলেন, এই বুদ্ধিজীবীদের পরিচয় ও তাঁদের মতাদর্শ সম্পর্কে জাতিকে জানানো অত্যন্ত জরুরি। শাসকগোষ্ঠী যে ১৪ ডিসেম্বরের যাবতীয় পালনের ক্ষেত্রে শহীদদের নাম ও পরিচয় যথাসম্ভব উহ্য রাখে। এর কারণ, তাঁরা প্রায় সবাই রাজনৈতিক দর্শনে বামপন্থী তথা প্রগতিশীল ছিলেন। একাত্তরে তাঁদের যে তালিকা তৈরি করা হয়, সেটাও ছিল যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) পৃষ্ঠপোষকতায়। মূলত স্বাধীন বাংলাদেশ যাতে কোনো দিন বৈষম্যহীন একটি সমাজে পরিণত হতে না পারে, তা নিশ্চিত করতেই এই সূর্যসন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল। আজ বাংলাদেশের দিকে তাকালে বোঝা যায়, সাম্রাজ্যবাদীদের সেই পরিকল্পনা সফল হয়েছে।
ওই নেতারা আরও বলেন, ছবির হাটকে আয়োজনস্থল হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। কারণ, আজ এটি একটি কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। একটা সময় পর্যন্ত চিন্তাশীল তরুণ ও প্রাজ্ঞরা এখানে মিলিত হতেন। চিন্তা করতেন, আড্ডা দিতেন, তর্কে লিপ্ত হতেন। আর এই স্বাধীন চিন্তা ও মননকে কবর দিতেই এই সরকার ২০১৫ সালে ছবির হাট উচ্ছেদ করে। তারপর এর গায়ের ওপর দিয়ে নির্মাণ করা শুরু হয় মেট্রো। বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার বিরুদ্ধে যে রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন চলছে, তা একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বরের সঙ্গে একই সুতায় গাঁথা। আর তাই এই ক্রান্তিলগ্নে দাঁড়িয়ে এই শহীদদের স্মরণ করাকে আয়োজকেরা জরুরি মনে করছেন। বিজ্ঞপ্তি
Leave a Reply