কাতারে কুরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন সিলেটের উসামা ভাঙ্গার আয়েশা

19 mins read

কাতারে জাতীয় কুরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কিশোর উসামা ও আয়েশা।
প্রতিযোগিতার দুই শাখায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশি কিশোর ও তরুণী। এ বছর অনুষ্ঠিত কুরআন প্রতিযোগিতায় তিন শাখার মধ্যে বিদেশিদের জন্য নির্ধারিত দুই শাখায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশি দু’জন হাফেজ।
উসামার বাড়ি সিলেট জেলার শাহপরান থানার খাদিমপাড়ায়। উসামার বাবা মাওলানা শিহাবুদ্দীন তিন বছর আগে কাতারে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। উসামার পিতা কাতারে ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন। উসামা বর্তমানে কাতারের একটি স্কুলে নবম শ্রেণীর ছাত্র। এদের মধ্যে এক শাখায় প্রথম হয়েছেন ১৪ বছর বয়সী কিশোর উসামা এবং অন্য শাখায় প্রথম হয়েছেন তরুণী আয়েশা।
কাতারে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই প্রতিযোগিতায় বয়স কিংবা নারী-পুরুষের জন্য আলাদা আলাদা শাখা থাকে না। ফলে এই দু’শাখায় অংশ নিয়েছেন কাতারে বসবাসরত আরব ও অনারব বিভিন্ন দেশের নানা বয়সের হাফেজ নারী ও পুরুষরা৷ সবাইকে পেছনে ফেলে দুটি শাখায়ই প্রথম স্থান বিজয়ী হলেন বাংলাদেশি হাফেজরা। প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাতারের ধর্মমন্ত্রী ও সুধীজনরা।
কাতারের ধর্মমন্ত্রী বলেছেন, পবিত্র কুরআন মুখস্ত বিদ্যায় বাংলাদেশিদের অগ্রযাত্রা প্রশংসনীয়। কাতারে মর্যাদাপূর্ণ এই প্রতিযোগিতায় দুটি শাখায় বাংলাদেশিদের প্রথম হওয়ার খবরে আনন্দিত কাতার প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।
কাতারের ধর্ম মন্ত্রণালয় চলতি রমজানের প্রথম সপ্তাহে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। কাতারের জাতীয় মসজিদে সপ্তাহব্যাপী তিনটি ধাপে প্রতিযোগিতা শেষে গত ৮ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানী দোহার শেরাটন হোটেলে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে কাতারের ধর্মমন্ত্রী গানেম বিন শাহিন আল গানেম বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার সনদ ও অর্থ তুলে দেন। কাতারে শেখ জাসেম বিন মুহাম্মদ আলথানি কুরআন প্রতিযোগিতার এবারে আসর ছিল ২৭তম।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতার আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান নাসের ইউসুফ আল সুলাইতি বলেন, করোনার কারণে দু বছর বন্ধ থাকার পর আবারও এই প্রতিযোগিতা শুরু করতে পেরে আমরা মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা আদায় করছি।
এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নেন প্রায় দেড় হাজার প্রতিযোগী। কাতারি ও বিদেশিদের মধ্যে অংশ নেন হাফেজ নারী ও পুরুষরা। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদেরকে মোট ১২ লাখ কাতারি রিয়াল পুরস্কার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়। এ বছরের জাতীয় কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জনকারী উসামা চৌধুরীর বয়স ১৪ বছর।
সিলেট জেলার শাহপরান থানার খাদিমপাড়ায় তার বাড়ি। উসামার বাবা মাওলানা শিহাবুদ্দীন তিন বছর আগে কাতারে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। উসামার পিতা কাতারে ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন। উসামা বর্তমানে কাতারের একটি স্কুলে নবম শ্রেণীর ছাত্র।
তিনি প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়ায় পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন এক লাখ কাতারি রিয়াল। এছাড়া অন্য শাখায় প্রথম স্থান অর্জনকারী বাংলাদেশি তরুণী আয়েশার বাবার নাম উমর ফারুক। তার বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নে।
আয়েশার বোন আজিজা এবার অন্য আরেকটি শাখায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেছেন। তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার কাতারি রিয়াল। অনুষ্ঠানে দুই মেয়ের পক্ষে বাবা ওমর ফারুক কাতারের ধর্মমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Latest from Blog

x
English version