////

কানাইঘাটে এক সন্তানের জননীকে গণধর্ষনের ঘটনায় গ্রেফতার ৫

12 mins read

সিলেট জেলার কানাইঘাট থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গণধর্ষনের মামলার ৫নরপুশুকে আটক করছেন কানাইঘাট থানা পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে যানাযায় কানাইঘাট থানা পুলিশের একটি দল গত ২৯ মে বীরদল বাজার সহ আশপাশ এলাকা হতে অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় আসামী কানাইঘাট থানার নন্দিরাই গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে দুদু মিয়া(৩৬), বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের মৃত মঈন উদ্দিনের ছেলে হেলাল আহমদ(৩৮), বড়দেশ সর্দারীপাড়া (বীরদল ছোটফৌদ) গ্রামের বিলাল আহমদের ছেলে ফরহাদ(৩৫), বীরদল আগফৌদ গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে আব্দুল করিম(২৮), বীরদল ছোটফৌদ গ্রামের হবিব আলীর ছেলে জুবেল আহমদ(২৪) কে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ আরও জানায়, কানাইঘাট থানার ২নং লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের এক সন্তানের জননী অভিযোগ দায়ের করে ৷ ঘটনার বিশ দিন পূর্বে কানাইঘাট সরকারি হাসপাতালে দুদু নামের ব্যক্তির সাথে পরিচয় হয়। ভিকটিমের নয় মাস বয়সী কন্যা সন্তান শারিরীক ভাবে অসুস্থ থাকায় বিষয়টি আসামী দুদু মিয়াকে জানায়। দুদু মিয়া ভিকটিমকে জকিগঞ্জ থানাধীন পুটিজুরি এলাকায় একজন ভাল কবিরাজের নিকট চিকিৎসা করানোর কথা বলে ২৮ মে বিকাল অনুমান ৩টায় ভিকটিমকে তার সন্তানকে কৌশলে তাহার বাড়ি হইতে বীরদল বাজারে নিয়া যায় এবং দীর্ঘক্ষণ বাজার এলাকায় অবস্থান করিতে থাকে।

বাজারের লোকজন সন্দেহ করায় দুদু মিয়া তাহার সহযোগী হেলাল, ফরহাদ, আব্দুল করিমগণ জুবেল আহমদের অটো রিক্সায় যোগে রাত ছোয়া ৮টায় বীরদল পুরানফৌদ পিপি হাবিব আলীর বসত বাড়ির পুকুর ঘাটে নিয়ে যায়।

সেখানে আসামী হেলাল ও ফরহাদ ভিকটিম বেগম (১৬) কে পালাক্রমে ধর্ষন করে শিশু সন্তান ও ভিকটিমকে ঘটনাস্থলে ফেলে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিম ও তাহার শিশু সন্তানকে উদ্ধার পূর্বক থানায় নিয়া আসে। ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কানাইঘাট থানায় গণধর্ষণ মামলা দায়ের বরা হয় (যাহার মামলা নং-২২)। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেন সিলেট জেলা পুলিশের সহকারি মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা শ্যামল বনিক ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Latest from Blog

x
English version