কোম্পানীগঞ্জ জুয়া খেলার অপরাধে পুলিশের খাঁচায় বন্ধি হলেন কুড়িজন৷
ডিআইজি, সিলেট রেঞ্জ এবং পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) তত্তাবধান ২৫ মার্চ অভিযান পরিচালনা করে জুয়া খেলার অপরাধে কোম্পানীগঞ্জে এসআই (নিরস্ত্র) মো. শাহ আলম ভূইয়া সঙ্গীয় এসআই জনার্দন তালুকদার ও ফোর্সসহ থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ইসলাম (পশ্চিম) গ্রামের মৃত শুকুর আলী ছেলে আবুল বাশার (৩৫) এর একচালা টিনসেড ঘর হইতে জুয়াখেলা অবস্থায় কুড়ীজনকে পুলিশ আটক করে ৷
আটককৃতরা হল কোম্পানীগঞ্জ থানার পাড়ুয়া মাঝপাড়া গ্রামের মৃত নজির মোল্লার ছেলে রাজ্জাক মিয়া ওরফে মস্তান (৫৬), টুকেরগাঁও গ্রামের মৃত হরন আলীর ছেলে মোহন মিয়া (৫০), শিলেরভাংঙ্গা গ্রামের মো. দ্বীন ইসলাম মিয়ার ছেলে মো. আল আমিন মিয়া (২৪), খায়েরগাঁও গ্রামের মৃত মো. রাজু মিয়ার ছেলে মো. জাবেদ হাসান (২৫), ইসলামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার এর ছেলে মো. বাবুল মিয়া (৫৫), ঢালারপাড় গ্রামের বকশা মিয়ার ছেলে ফরহাদ মিয়া (২৮), দক্ষিণ রাজনগর গ্রামের মৃত মো. গাজী রহমানের ছেলে মো. খাজা মইন উদ্দিন (৩০), নয়াগাঙ্গেরপাড় (ছাতিরটুক) গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে ফজলু মিয়া (৫০), টুকেরগাঁও গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে মো. সোহেল মিয়া (২৯), ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে শাহাদাত আলী (৩৫), নয়াগাংঙ্গেরপাড় গ্রামের মৃত ওসমান আলীর ছেলে আব্দুল আলী (৩০), ইসলামপুর গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে মো. ফয়জুল (৪০), টুকেরগাঁও গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মো. হাসান (২৯), ইসলামপুর গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে মো. ইসলাম (৫২), শিলেরভাংঙ্গা গ্রামের আঃ নুর হোসেনের ছেলে মো. ফারুক মিয়া (৩২), ঢালারপাড় গ্রামের কেরামত আলীর ছেলে রফিক (৪০), ইসলামপুর গ্রামের মো. সাদু মিয়ার ছেলে মো. এরশাদ মিয়া (২৮), টুকেরগাঁও গ্রামের মৃত আশরব আলীর ছেলে রেনু মিয়া (৪৫), তৈমুরনগর গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে মো. কাজল মিয়া (৪০), কালিবাড়ী (সালাম মেম্বার এর ভাড়াটিয়া) আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. মঞ্জুরুল হক (৩৭) ৷ ঐ সময় ঘরের মালিক আবুল বাশার (৩৫) ও সহ আরও ২/৩ জন দৌড়াইয়া পালিয়ে যায়।
এসময় পুলিশ ৫বান্ডিল তাস, নগদ ৬ হাজার ৩০ টাকা, অন্যান্য উপকরন জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় এসআই জনার্দন তালুকদার বাদী হইয়া আসামীদের বিরুদ্ধে ১৮৬৭ সালের প্রকাশ্যে জুয়া আইনের ৩/৪ ধারায় মামলা করা হয় (যাহার নং-১৩)। তাদেরকে আটক দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয় এবং পলাতক অজ্ঞাতনামা আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা শ্যামল বনিক ৷