
সিলেটের জকিগঞ্জের খলাছড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ খলাছড়া গ্রামে বাড়ির রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে মারামারির ঘটনায় নিহত স্কুল ছাত্র সোহেল আহমদ (১৬) এর ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় ডিগ্রি গ্রামের জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে হাজারো মানুষের উপস্থিতি জানাজার নামাজ শেষে তাকে দাফন করা হয়।
জানাজার আগে নিহত কিশোর সোহেলের স্বজনদের বুকফাটা কান্নায় পুরো এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। দাফনে অংশ নিয়ে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসি ক্ষোভ জানিয়ে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকল আসামিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। সেই সাথে এ ধরনের ন্যাক্কার জনক ঘটনা যেন আর না ঘটে তার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাত ১০ টার দিকে খলাছড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ খলাছড়া গ্রামের আতাবুর রহমানের বাড়িতে তাদের রাস্তা নিয়ে একই বাড়ির মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে আব্দুল মালিক(৫৭), আব্দুল খালিক(৫২) গংদের সাথে আতাবুর রহমান গংদের মারামারি ঘটনা ঘটে। এ সময় এসএসসি পরীক্ষার্থী সোহেল আহমদসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫জন আহত হন। বুধবার রাত ১০টার দিকে আহত সোহেল চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেটের একটি ক্লিনিকে মৃত্যু বরণ করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে সোহেলের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। এ ঘটনায় জকিগঞ্জ থানায় দক্ষিণ খলাছড়া গ্রামের মৃত মনুহর আলীর ছেলে আতাবুর রহমান বাদী হয়ে ৮জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত দু’জনকে আসামি করে অভিযোগ দাখিল করেন। পুলিশ মামলা আমলে নিয়ে বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্তসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, দক্ষিণ খলাছড়া গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে আব্দুল খালিক(৫৫) ও আব্দুল মালিক(৫৭) এবং আব্দুল মালিকের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন(২২)। বৃহস্পতিবার জকিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশাররফ হোসেন জানান, নিহত কিশোর সোহেলের লাশ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনার প্রধান অভিযুক্তসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে বিজ্ঞ বিচারক জেলহাজতে তাদেরকে পাঠান। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।