
জৈন্তাপুররে বিয়ে গোপন রেখে বিবাহিত মেয়েকে পূনরায় বিয়ে পড়িয়ে দিল মেয়ের পিতা-মাতা। এনিয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পূর্বের স্বামী।
অভিযোগ সুত্রে ও বিয়ের কাবিন সূত্রে জানাযায়, গত ডিসেম্বর মাসে সিলেট জেলার গোপালগঞ্জ থানার কিসমত মাইছবাগ গ্রামের দুধু মিয়ার ছেলে রিপন আহমদ (২৩) রেজিষ্টারী কাবিন মারফত বিয়ে করেন জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের গোয়াবাড়ী গ্রামের বাবুল মিয়া (৫৫) ও হায়াত বেগম (৪৫) মেয়ে সুমাইয়া বেগম (২০) কে। উভয় পরিবারের সম্মতিতে ৩ মাস পর নতুন বউকে আনুষ্ঠানিক ভাবে নিজের বাড়ী গোলাপগঞ্জে তুলে নিবেন।
অপরদিকে রিপনের শশুর গোয়াবাড়ী গ্রামের বাবুল মিয়া (৫৫) ও হায়াত বেগম (৪৫) তাদের মেয়ে সুমাইয়া বেগম এর বিয়ে গেপানে রেখে জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের ছৈয়া গ্রামের তোতা মিয়ার প্রবাসী ছেলে সোহেল মিয়ার সাথে বিয়ে আজ ২০ মার্চ সোমবার বিয়ের দিন তারিখ টিক করেন। পিতা-মাতা কর্তৃক জোর পূর্বক অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার বিষয়টি (১৯ মার্চ) রবিবার সন্ধ্যার পর এক বান্ধবির মোবাইল ফোনে সুমাইয়া বেগম স্বামী রিপনকে জানায়।
সংবাদ পেয়ে রিপন বিষয়টি তার নিকট আত্মীয়দের সাথে আলোচনা করে এবং স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য ২০ মার্চ সোমবার দুপুরে ১টায় জৈন্তাপুর মডেল থানায় হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ করে।
অপরদিকে তাড়াহুড়া করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাবিন ছাড়া মসজিদের ইমামের মাধ্যমে বিয়ে পড়িয়ে কন্যাকে নতুন স্বামী উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের ছৈয়া গ্রামের তোতা মিয়ার প্রবাসী ছেলে সোহেল মিয়ার হাতে তুলে দেয়।
নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের বিবাহ ও তালাক রেজিষ্টার আবু সাইদ মো. আব্দুল্লাহ বলেন বিবাহের জন্য আমাকে জানানো হয়ছিল। আমার লোকও রেজিষ্টার করতে প্রস্তুতি নিয়েছিল। এমন সময় সুমাইয়ার স্বামী রিপন ফোন মাধ্যমে আমাকে বিষয়টি জানালে আমি বিবাহ রেজিষ্টার করতে পারবনা মর্মে জানিয়ে দেই কন্যার পরিবারকে। পরে বিবাহ রেজিষ্ঠার যাচাই করে দেখতে পাই ঐমেয়েটি কাবিন নং-৮০/২০২২, বলাম নং-০২/২০২২ পৃষ্টা নং ১০ মারফত ৫লক্ষ টাকা মহোরানা নির্ধারণ করে ৮০ হাজার টাকা অলংকার বাবত উসুল দেখিয়ে আমার নিকট হতে বিবাহ রেজিষ্টার করা হয়।
অভিযোগ পেয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক নিখিল দাশ ঘটনাস্থল গোয়াবাড়ী গ্রামে তদন্তে যান এবং সুমাইয়াকে বিয়ে দেওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। তবে বিয়ের দাওয়াতে আসা আমন্ত্রিতরা বলেন পুলিশেকে জানান ঐমেয়ের পূর্বে বিয়ে হয়েছে কি না আমাদের জানা নেই বলে জানান।
এলাকাবাসী বলেন, বাবুল মিয়া পূর্বে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে তাকে এবং সেই বিয়ের বিষয়টি গোপন করে ঐ স্বামীকে তালাক না দিয়ে পুনরায় মেয়েকে বিয়ে দেওয়াটা চরম অন্যায় কাজ করেছে। তারা সুষ্ট বিচার ও কঠিন শাস্তি দাবী জানান। যাহাতে ঐ এলাকায় এরকম কাজ কেউ না করতে পারে। রিপন এর পিতা দুধুমিয়া বলেন, আমরা আইনের সহায়তা চেয়েছি। পুলিশ সরজমিনে বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। রিপন বলেন, আমরা আইনের প্রতিশ্রদ্ধা শীল আশারাখি পুলিশ মানবিক দিক বিবেচনা করে স্ত্রীকে উদ্ধার করবে এবং আমার দায়েরকৃত অভিযোগটি মামলা হিসাবে রের্কড করে আইনগত ব্যবস্থা
গ্রহণ করবে।
জৈন্তাপুর মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক নিখিল দাশ বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ঐ বাড়িতে বিয়ে হয়েছে। তবে বিষয়টি উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষ আরও খতিয়ে দেখছেন।