
সিলেটের জৈন্তাপুরে পরকিয়া প্রেমের জের ধরে প্রবাসী স্বামীকে বেঁধে হত্যার চেষ্টা৷ পুলিশের হাতে আটক পরকিয়া প্রেমিক প্রেমিকা, মুমুর্ষ অবস্থায় প্রবাসী স্বামীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ৷ মামলা দায়ের ৷
মামলার এজাহার সূত্রে যানাযায়, বিগত দুই বৎসর পূর্বে হরিপুর ৬নং কুপ গ্রামের আব্দুল্লাহ মেয়ে মিনারা বেগম (২২) এর সাথে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের ঘাটেরচটি যাত্রাপুর গ্রামের নুর মিয়ার ছেলে ওমান প্রবাসী মিনহাজ উদ্দিন (৩১) ৷ বিবাহের কিছু দিন পূর্বে মিনহাজ উদ্দিন স্ত্রী মিনারা বেগমকে নিজ বাড়ীতে রেখে প্রবাসে চলে যান ৷
এই সুযোগে মিনারা বেগম পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন চিকনাগুল ইউনিয়নের পশ্চিম ঠাকুরের মাটি গ্রামের মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে ফেরদৌস রহমান চৌধুরী (২৫) এর সাথে ৷ মিনহাজ প্রবাসে থাকার সুবাধে অতি গোপনে রাতের আধাঁর সহ বিভিন্ন ভাবে মিনারা ফেরদৌস রহমান চৌধুরীর সাথে শারিরীক সম্পর্ক চালিয়ে আসছে ৷
অপরদিকে গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে ওমান প্রবাসী মিনহাজ উদ্দিন ছুটিতে বাড়ীতে আসে এবং স্ত্রীর সাথে বসত ঘরে থাকতে শুরু করোন ৷ ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে প্রতিদিনের ন্যায় বসত ঘরে মিনহাজ উদ্দিন ও স্ত্রী মিনারা বেগম যান ৷ একপর্যায় মিনহাজ উদ্দিন ঘুমিয়ে পড়েন ৷
এদিকে স্ত্রী মিনারা বেগম পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পরকিয়া প্রেমিক সাথে নিয়ে রাতের আধাঁরে স্বামী মিনহাজ উদ্দিনকে হত্যার উদ্দ্যেশে নিজের ওড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে গলায় চাপ দিয়ে শ্বাসরোধ করিয়া হত্যার চেষ্টা চালায় ৷
মিনহাজের চাচা হারুন অর রশিদ হঠাৎ করে বাহির হতে ভাতিজা মিনহাজের গুংগানির শব্দ পেয়ে বাহির হতে ডাকাডাকি ও চিৎকার শুরু করেন ৷ তার চিৎকারে বাড়ীর লোকজন সহ আশপাশের লোকজন জড়ে হতে দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা চালালে মিনারা বেগম দরজা খুলে দেন ৷
বাড়ীর লোকজন সহ এলাকাবাসী ঘরে প্রবেশ করে দেখতে পান প্রবাসী মিনহাজ উদ্দিনকে কম্বল জড়ানো অবস্থায় ঘরে মেঝোতে পড়ে আছে ৷ মিনহাজের পিতা, চাচা ও গ্রামের লোকজন কম্বল সরিয়ে দেখতে পান স্ত্রীর ওড়না দিয়ে মিনহাজের হাত-পা বাঁধা রয়েছে ৷
এলাকাবাসী মিনহাজকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন ৷ এবং ঘর তল্লাসী করে অব্যবহৃত রান্না ঘরের চুলার চিমনীতে লুকিয়ে থাকা পরকিয়া প্রেমিক ফেরদৌস রহমান চৌধুরীকে আটক করেন ৷ বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে জৈন্তাপুর মডেল থানায় খবর দেন ৷
ঘটনার সংবাদ পেয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম পিপিএম দ্রুত টহল টিমকে ঘটনাস্থলে পাঠান এবং প্রবাসীর স্ত্রী মিনারা বেগম ও তার পরকিয়া প্রেমিক ফেরদৌস রহমান চৌধুরীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন ৷
মিনহাজ উদ্দিনের পিতা নুর মিয়া বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ৷ ছেলে হত্যার সুষ্ট বিচার দাবী করেন ৷ তার সাথে যা হয়েছে আর যেন কাহারে পরিবারে তা না হয় ৷
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম পিপিএম বলেন, সংবাদ পেয়ে দ্রুত টহল টিম প্রেরণ করে পরকিয়া প্রেমিক প্রেমিকা সহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি ৷ পরবর্তীতে প্রবাসীর পিতা নুর মিয়া বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে মামলা হিসাবে রেকর্ড করে আটককৃতদের আদালতে প্রেরণ করি ৷