সিলেটের জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের পৃথক পৃথক অভিযানে ১৩৮ বেতল ঔষধ সহ মটরসাইকেল ও ১০৫ বস্তা ভারতীয় চিনি, ১টি নৌকা সহ ৩জন আটক।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, ৬ জুলাই শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট মাহুতহাটি গ্রামের রাস্তা দিয়ে চেরাকারবারী চক্রের সদস্যরা টমটম যোগে ভারতীয় ১৩৮ বোতল চেতনা নাশক ঔষধ পাচারের উদ্দ্যেশে নিয়ে যাচ্ছে। সংাবদ পেয়ে উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস.আই) আশরাফুল আলম সঙ্গীয় ফোর্স কনেষ্টেবল সুলতান, রব্বানীকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে দুটি কাটুনে ভর্তি ভারতীয় ১৩৮ বোতল চেতনা নাশক ঔষধ সহ ১টি মটরসাইকেল আটক করে। পুলিশের উপস্থিতিটের পেয়ে চোরাকারবারী দলের সদস্য মটরসাইকেল ও ঔষধ ফেল দ্রুত পালিয়ে যায়। পুলিশ ঔষধ ও মটর সাইকেল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এই ঘটনায় উপজেলার লামনীগ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে কুতব উদ্দিন (৩২) ও ভিত্রিখেল কন্যাখাই গ্রামের মুহিত মিয়ার ছেলে তোফায়েল আহমেদ (২৫) এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে বলে জানায়।
অপরদিকে রাত ১টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস.আই) আব্দুল লতিফ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে জৈন্তাপুর উপজেলার ডুলটিরপাড় এলাকার সারী নদীর পূর্বপাড় হতে অভিযান পরিচালনা করে ১০৫ বস্তা ভারতীয় চিনি ভর্তি একটি নৌকা সহ ৩জনকে আটক করে। আটককৃতরা হল গোয়াইনঘাট উপজেলার বাউনগ্রামের মৃত ফরজান আলীর ছেলে কটাই মিয়া(৪৬), একই গ্রামের আজির উদ্দিনের ছেলে সিরাজ (৫১) আলীরগাঁও গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে আতিক (২১)। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টেরপেয়ে জৈন্তাপুর উপজেলার ডুলটিরপাড় গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে মুজিবুর রহমান (৩৫) পালিয়ে যায়।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম পিপিএম বলেন, থানা পুলিশ নিয়মিত চোরাচালান বিরুধী অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। পুলিশের পৃথক দুটি অভিযানে ১৩৮ বোতল ভারতীয় চেতনা নাশক ঔষধ সহ মটরসাইকেল এবং নৌকা ভর্তি ১০৫ বস্তা চিনি সহ ৩জনকে আটক করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পূর্বক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এছাড়া পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।