///

জৈন্তাপুর বন্যার অবনতি : জৈন্তাপুরে বন্যায় পানি বন্ধি ৫টি ইউপি লক্ষাধিক বাসিন্ধা

12 mins read

সিলেটের জৈন্তাপুর কয়েক দিনের পাহাড়ী ঢলে বন্যায় উপজেলার ৫ ইউপির প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্ধি হয়েছে পড়েছে ৷ নতুন করে প্লাবিত হয়েছে দরবস্ত, ফতেপুর ও চিকনাগুল ইউপির বিভিন্ন গ্রাম ৷ সারী ও বড় নয়াগং নদীর পানি স্বাভাবিক পর্যায়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে ৷

১৭ মে মঙ্গলবার সরেজমিনে দরবস্ত ফতেপুর চিকনাগুল ও জৈন্তাপুর ইউপি ঘুরে হাফিজ রফিক আহমদ, বুরহান উদ্দিন, করিম মিয়া, সুলেমান মিয়া সহ অনেকের সাথে কথা বলে যানা যায়, কয়েক দিনের অব্যহত বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে তারা পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে৷ অতিতের সকল বন্যাকে ছড়িয়ে গেছে ৷ নিজপাট ইউপির বিভিন্ন গ্রামের পানি কমলেও উপজেলার নিম্নাঞ্চল জৈন্তাপুর ইউপির চাতলারপাড়, লক্ষিপুর, বিড়াখাই, হাটিরগ্রাম, ভিত্রিখেল, ববরবন্দ, গাতিগ্রাম, নিজপাট ইউপির ফুলবাড়ী, ডিবিরহাওর, লক্ষীপ্রসাদ হাওর, দিগারাইল, চারিকাটা থুবাং, রামপ্রসাদ, নয়াগাতি, মাদার মোকাম, দরবস্ত ইউপির গর্দনা, কাঞ্জর, চাল্লাইন, সেনগ্রাম, মুটগুঞ্জা, নয়াবাজার, ফরফরা, তেলীজুর, শুকইনপুর, লামা ডেমা, ছাতারখাই, মানিকপাড়া, মহাইল, লামা মহাইল ফতেপুর ইউপির হেমু, হাউদপাড়া, বালিপাড়া, জুহাইরটুক, মাঝেরটুক, লামা শ্যামপুর ও চিকনাগুল ইউপির কহারগড় ১মখন্ড ২য় খন্ড সহ ৫টি ইউনিয়নের শতকনা ৮০ ভাগ গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ৷

এদিকে বন্যার কবলিত গ্রামবাসীরা উচু স্থানে গৃহপালিত পশু গরু মহিষ নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে চলছে ৷ অপরদিকে জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে এসব অঞ্চলে অবস্থিত সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোকে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে ঘোষনা করা হয়েছে ৷ সেই সাথে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মাধ্যমে বন্যা কবলিতদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হচ্ছে ৷

অপরদিকে বন্যায় পরিস্থিতি ও বন্যায় কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি সহ জনপ্রতিনিধিরা ৷

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল বশিরুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ ইউপি চেয়ারম্যানগন জানান, আমরা বন্যায় প্লাবিত এলাকা সমুহের সকল প্রকার খোঁজ খরব রাখাছি৷ বন্যা কবলিতদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া বন্যা কবলিদের সর্তকবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে ৷ বন্যা কবলিতদের উদ্ধারে জরুরী নৌযান প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Latest from Blog

x
English version