টাকার বিনিময়ে চাকরি দিতে চাইলে নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করার আহ্বান প্রতিমন্ত্রীর

15 mins read

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা পরিচালনার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সহকারি শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা পরিচালনা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। প্রতিটি দায়িত্ব সুষ্ঠু ও সুচারু ভাবে পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষায় সর্বোচ্চ স্বচ্ছতায় বজায় রাখা হবে বলেও উল্লেখ করেছেন প্রতিমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় দ্রুত লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ সম্পন্ন করতে প্রতিমন্ত্রী সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম নিয়োগ বিধি অনুসরণ করে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়। প্রার্থীদের রোল নম্বর, আসন বিন্যাস, প্রশ্নপত্র প্রেরণ ও মুদ্রণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল প্রস্তুতসহ যাবতীয় কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় ভাবে করা হয়। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।

কেউ অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখালে তাঁকে নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করা অথবা থানা বা গোয়েন্দা সংস্থাকে জানানোর জন্য দেশবাসির প্রতি অনুরোধ জানান প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার জন্য প্রয়োজন মানসম্মত শিক্ষক। তাই বর্তমান সরকার মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে। এবারে যেসব শিক্ষক নিয়োগ পাবেন তাঁরা আগামী প্রায় ৩৫ বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি পাঠদান পরিচালনায় নিয়োজিত থাকবেন।

তাঁদের হাতেই গড়ে উঠবে ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের কারিগর। তাই শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। অন্যথায় মানসম্মত শিক্ষক পাওয়া যাবে না এবং তাঁদের হাতে গড়ে ওঠা প্রজন্মের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়া যাবে না।

মন্ত্রণালয়ের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম পর্যায়ে ২২টি জেলার মধ্যে ১৪ জেলার সব এবং ৮ জেলার আংশিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নিয়োগ পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৮১১ টি। তিন ধাপে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের পরীক্ষা আগামীকাল (২২ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Latest from Blog

x
English version