টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে জৈন্তাপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

10 mins read

সিলেটের জৈন্তাপুর গত তিন দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সারী ও বড় নয়াগং, রাংপানি নদীর পানি স্বাভাবিকের বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷ অনবরত বৃষ্টিপাত হলে যেকোন মুহুত্বে সবকয়েটি নদীর পানি বিপদ সীমার উপরদিয়ে প্রবাহিত হবে।

সরেজমিনে, তিন দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে নিজপাট, জৈন্তাপুর ও চারিকাটা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ৷ পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার বোরো ধান৷ এছাড়া বন্যায় আটকে পড়া পরিবারের লোকজন উচু স্থানে আশ্রয়ের জন্য ছুটতে দেখা যায়। বন্যায় পরিস্থিতি ও বন্যায় আটকাপড়াদের খোঁজ খবর রাখছে জনপ্রতিনিধি প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।

সরজমিনে বন্যা কবলিত এলাকা মেঘলী, বন্দরহাটি, লামাপাড়া, ময়নাহাটি, জাঙ্গালহাটি, মজুমদারপাড়া, নয়াবাড়ী, হর্নি, বাইরাখেল, গোয়াবাড়ী, তিলকৈপাড়া, বড়খেল, ফুলবাড়ী, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, হেলিরাই, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, লামনীগ্রাম, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, ১নং লক্ষীপুর, ২নং লক্ষীপুর, আমবাড়ী, ঝিঙ্গাবাড়ী, কাঠালবাড়ী, নলজুরী হাওর, বালিদাঁড়া, রামপ্রসাদ, থুবাং, বাউরভাগ উত্তর, বাউরভাগ দক্ষিণ সহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

উপজেলা সর্ব বৃহত সারী নদী ও বড় নয়াগাং নদী এবং রাংপানি নদীর পানি বিপদ সীমার নিকটে চলে আসছে৷ টানা বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নদীর পানি সমুহ বিপদ সমীর নিকটে চলে আসবে ৷

সারী-গোয়াইন বেড়ীবাঁধ প্রকল্পের কর্মকর্তা মোঃ আলা উদ্দিন বলেন, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের কারনে পানি নিম্নাঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে ৷ বৃষ্টি অব্যহত থাকলে পানি বিপদ সীমার সন্নিকটে প্রবাহিত হবে ৷

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল বশিরুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ী ঢলে টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট ফ্লাস বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে ৷ বন্যার পরিস্থিতির পর্যবেক্ষন করছি এবং জনসাধারনকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Latest from Blog

x
English version