সিলেটের জৈন্তাপুর ৩দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে বন্যায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অপরদিকে নৌকা ডুবির ঘটনায় ১জন নিখোঁজ ৷
সারী ও বড় নয়াগং নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বিপদ সীমার .৪৯ সেন্টি মিটার উপরদিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
১২ মে শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, গত ৩ দিনে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে নিজপাট, জৈন্তাপুর ও চারিকাটা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের পরিবার গুলো। বন্যায় আটকে পড়া লোকজন নৌকা অথবা বেলায় করে উঁচু স্থানে আশ্রয়ের জন্য ছুটতে দেখা যায়।
বন্যায় পরিস্থিতি ও বন্যায় আটকাপড়াদের খোঁজ খবর নিতে এলাকা পরিদর্শন করেছেন জনপ্রতিনিধিগন এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।
সরেজমিনে বন্যা কবলিত এলাকা গুলো হল- মেঘলী, বন্দরহাটি, লামাপাড়া, ময়নাহাটি, মোরগাহাটি, জাঙ্গালহাটি, মজুমদারপাড়া, নয়াবাড়ী, হর্নি, বাইরাখেল, গোয়াবাড়ী, তিলকৈপাড়া, বড়খেল, ফুলবাড়ী, বন্দরহাটি, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, মাস্তিং, হেলিরাই, মুক্তাপুর, বিরাইমারা, বিরাইমারা হাওর, লামনীগ্রাম, কাটাখাল, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, ১নং লক্ষীপুর, ২নং লক্ষীপুর, আমবাড়ী, ঝিঙ্গাবাড়ী, কাঠালবাড়ী, নলজুরী হাওর, বালিদাঁড়া, রামপ্রসাদ, থুবাং, বাউরভাগ উত্তর, বাউরভাগ দক্ষিণ।
উপজেলা সর্ববৃহৎ সারীনদী ও বড় নয়াগাং নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সারী নদীর পানি বিপদসীমার .৪৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান সারী-গোয়াইন বেড়ীবাঁধ প্রকল্পের কর্মকর্তা মো. আলা উদ্দিন জানান। তিনি আরও বলেন বৃষ্টি থামলে পানি নিচের দিকে প্রবাহিত হবে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ জানান, ৩দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে সৃষ্টি ফ্লাস বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। তারা বন্যা প্লাবিত এলাকাগুলো সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ খবর রাখছেন। বন্যা কবলিতদের সহায়তার জন্য স্থানীয় মন্ত্রী মহোদয় সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জরুরী প্রয়োজন দেখা দিলে আশ্রয় কেন্দ্র চালু করা হবে।
এদিকে সকাল ১১ টায় বড় নয়াগাং নদীর শুক্কুরের ভাঙ্গা নামক স্থানে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে ৷ এঘটনায় ৫ নৌকা আরোহী প্রবল স্রেতে তলিয়ে যান ৷ স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে দ্রুত তার মধ্যে ২শিশু সহ ৪জনকে উদ্ধার করা হলেও এখন ১জন নিখোঁজ রয়েছেন ৷ নিখোঁজ ১জন হল গড়েরপার গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়া (২৮) ৷
নৌকাডুবিতে সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফখরুল ইসলাম দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের লোকজন নিয়ে নিখোঁজ আলমগীরের সন্ধান চালান ৷ এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত আলমগীরকে খোঁজে পাওয়া যায়নি ৷ দিকে অব্যহৃত বৃষ্টির কারনে আলমগীরের অনুসন্ধান কাজ বিকাল ৩টায় স্থগিত করা হয়েছে ৷
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল বশিরুল ইসলাম জানান, বন্যায় প্লাবিত এলাকা সমুহের খোঁজ খরব রাখা হচ্ছে। ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য ও গ্রাম পুলিশদের বন্যার পরিস্থিতির পর্যবেক্ষনের জন্য সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। নৌকা ডুবির ঘটনায় উদ্ধার কাজ স্থগিত করা হয়েছে ৷ এবং উদ্ধার হওয়া শিশু সহ বাকীদের জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ৷ তিনি ফ্লাস বন্যার কবল হতে নদীর তীরবর্তী বাসিন্ধাদের সর্তক থাকার পরামর্শদেন সেই সাথে সর্তকতার সহিত যে কোন নৌযান চালানোর পরামর্শদেন।
Leave a Reply