//

তিন বছর পর খালেদার হাতে মাদার অব ডেমোক্রেসি’র ক্রেস্ট

20 mins read

তিন বছর পর খালেদার হাতে মাদার অব ডেমোক্রেসি’র ক্রেস্ট

আজ মঙ্গলবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসায় গিয়ে তাঁর হাতে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৷
কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (সিএইচআরআইও) দেওয়া ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’র সম্মাননা ক্রেস্ট খালেদা জিয়ার হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবনে গিয়ে ওই সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ তাঁর হাতে তুল দেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) খুশি হয়েছেন। এর আগে দুপুরে গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সম্মাননা পাওয়ার খবর সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের প্রতি ‘অসামান্য অবদানের’ জন্য কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও) নামের একটি সংগঠন খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ পুরস্কার দিয়েছে। এ সময় তিনি সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ সাংবাদিকদের দেখান। ঢাকার কানাডা হাইকমিশন সম্মাননা প্রদানকারী সিএইচআরআইওকে স্বীকৃতি দিয়েছে বলেও জানান বিএনপির মহাসচিব।
সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদে দেখা যায়, ‘ডেমোক্রেসি হিরো’ ক্যাটাগরিতে খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ পুরস্কার দেওয়া হয়। তাতে উল্লেখ আছে, বাংলাদেশে ও বহির্বিশ্বে অনগ্রসর জনগণের জন্য গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শান্তি ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের জন্য খালেদা জিয়াকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ক্রেস্টে এর তারিখ উল্লেখ রয়েছে ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই।
সাড়ে তিন বছর পর এই পুরস্কার প্রাপ্তির খবর জানানো নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এর কারণটা হচ্ছে, এই সম্মাননা যখন দেওয়া হয়, তখন ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) জেলে ছিলেন দুই বছর। তারপর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিলেন কয়েকবার। এখন উনি বাসায় এসেছেন। আমরা তাঁকে এই সম্মাননার কথা জানিয়েছি। আপনাদেরও জানালাম।’
দলের স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানাতে মূলত গতকালের সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছিল। এর আগে গত সোমবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে (ভার্চ্যুয়ালি) স্থায়ী কমিটির সভা হয়।
নির্বাচন কমিশন গঠনে অনুসন্ধান কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘কমিটির প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান জাতীয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ছিলেন দুই টার্মে, তিনি ২০০৭ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। আরেক সদস্য ছহুল হোসাইন ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। অন্য সদস্য বিচারপতি কুদ্দুস সাহেবের গোটা পরিবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আর যে দুজন কম্পট্রোলার জেনারেল ও পিএসসির চেয়ারম্যান, তাঁরাও বিভিন্ন ভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত।’
অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশ জনগণ ‘ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে’ বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, বিএনপি মনে করে শুধু নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে নির্বাচন সংক্রান্ত সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এরপর নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই সংকট উত্তরণ সম্ভব। ফলে ইসি গঠনের এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অর্থহীন ও অগ্রহণযোগ্য।
তাহলে কোন পথে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে? এ প্রশ্নের জবাবে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে, এই সংসদ বাতিল করতে হবে। তারপর নিরপেক্ষ সরকার আসবে। তারা অবশ্যই প্রতিষ্ঠান গুলোকে সুন্দর ভাবে গড়ে তুলবে। সমাধান আছে, দেশে ভালো লোক আছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Latest from Blog

x
English version