সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত টু রামপ্রসাদ রাস্তায় নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করছে টিকাদারী প্রতিষ্টান ৷ এলজিইডি গাফিলতি সহ কাজের অনিয়ম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হওয়া সহ এলাকাবাসীর অভিযোগে তদন্তে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ৷
১৯ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সরজমিনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশিরুল ইসলাম পরিদর্শনে গেলে কাজের অনিয়ম এবং অসঙ্গতি দেখতে পান৷ এসময় চারিকাটা ইউপির রামপ্রসাদ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী সহ একাধিক ব্যক্তি সরাসরি কাজের অসঙ্গতি নিয়ে অভিযোগ করেন ৷ শওকত আলী আরও জানান তিনি উপজেলা প্রকৌশলী একেএম রিয়াজ মাহমুদ কে বিষয়টি মোবাইল ফোনে জানালেও তিনি সরজমিনে এসে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি ৷ বরং টিকাদারী প্রতিষ্টানের পক্ষালম্বন করেন ৷ এই সুযোগে টিকাদারী প্রতিষ্টানের লোকেরা নিম্নমানের সামগ্রী দেদারছে ব্যবহার করছে ৷ বিশেষ করে কাজের সময় একজন এলজিইডি কর্মকর্তা সরেজমিনে উপস্থিত থেকে কাজের তদরকির কথা থাকলেও কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানান ৷ এছাড়া টিকাধারী প্রতিষ্টান বন্দের দিন অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ করে রাস্তার কাজ সম্পন্ন করচ্ছে ৷
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরজমিন পরিদর্শন করে উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তাকে নির্দেশদেন রাস্তার ৫শত মিটারের ব্যবহৃত নিম্ন মানের ইঠের খোয়া সরিয়ে নিতে ৷ তিনি এলাকাবাসীকে বলেন, সরকার আপনাদের চলাচলের সুবিধার জন্য রাস্তার উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ৷ কাজের সটিক মান মেনে কাজ হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখে কোন অসংগতি ধরা পড়লে দ্রুত আমাকে জানাবেন ৷ এছাড়া এগুলো সরচ্ছে কি না আমাকে অবহিত করবেন ৷ আমি ব্যবস্থা গ্রহন করব ৷ এসময় তিনি এলজিইডি কর্মকর্তাকে বলেন নিম্নমানের সামগ্রী সরিয়ে না নিলে টিকাধারী প্রতিষ্টান কাজের মান ভাল না করলে তার কাজের বিল বন্দ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন ৷