
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের সলপ গ্রামের বাসিন্দা ও ৭নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য টিটু মিয়া (৫০) কে মারধর করে আহত করা হয়েছে। এছাড়া তাঁর বসতঘরে ঢিল ছোড়াছোড়িরও ঘটনা ঘটেছে। অবৈধভাবে সরকারি খাস জমি থেকে মাটি উত্তোলন ও গরু দিয়ে বোরো জমির ফসল বিনষ্ট করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার সলপ গ্রামের একটি চায়ের স্টলের সামনে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। আহত ওই ইউপি সদস্য ওইদিন রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাময়িক চিকিৎসা নিয়েছেন। একই গ্রামের বাসিন্দা আল আমিনের (৩২) নেতৃত্বে তাঁর ৫/৬ জন লোক এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
এলাকাবাসী ও আহত ওই ইউপি সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের সলপ গ্রামের বাসিন্দা আল আমিন (৩২) ও তাঁর লোকজন খৃুবই উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির। প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে তিনি তাঁর লোকজন নিয়ে সলপ গ্রামের সামনে থাকা সরকারি খাস জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন ও তাঁদের গরু দিয়ে আশপাশের গ্রামের কৃষকের বোরো জমির ফসল বিনষ্ট করে আসছেন। শনিবার রাত ১০টার দিকে সলপ গ্রামের ভেতরে থাকা চায়ের স্টলে আল আমিন কে পেয়ে কেমন এমনটি করা হচেছ তা জানতে চান ইউপি সদস্য টিটু মিয়া। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আল আমিনের নেতৃত্বে সেখানে থাকা তাঁর লোকজন ইউপি সদস্য টিটু মিয়াকে কিল ঘুষি ও মাথায় বাঁশের খুটি দিয়ে আঘাত করে । পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে ওই ইউপি সদস্যকে রক্ষা করেন। রাত সোয়া ১০টার দিকে আল আমিনের নেতৃত্বে ৭/৮ লোক ওই ইউপি সদস্যের বসতঘরের ইট ও মাটির টুকরো ঢিল ছোঁড়ে। আহত ইউপি সদস্য টিটু মিয়া বলেন, এ ঘটনায় আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব। তবে আল আমিন দাবি করেন, এ ধরণের কোনো ঘটনা তিনি বা তাঁর লোকজন ঘটাননি।
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন,ঘটনাটি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।