////

নতুন করে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করবে সরকার

13 mins read

বাংলাদেশের কোনো এলাকায় দুই কিলোমিটারের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকলে সেখানে নতুন করে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। সেজন্য নতুন করে আবেদন নিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

১৮ এপ্রিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ইমামুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে সারাদেশের বিদ্যালয় বিহীন এলাকায় বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য নতুন আবেদনপত্র নেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। চিটিতে বলা হয়, নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান আছে। প্রকল্পের আওতায় বিদ্যালয়ের তালিকা ভুক্তির জন্য প্রস্তাবিত বিদ্যালয়/বিদ্যালয় সমূহের আবেদন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ আগামী ১৮ মে মধ্যে অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে।

অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, যেসব এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই সেসব এলাকায় নতুন করে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করবে সরকার। সেজন্য বিদ্যালয় বিহীন এলাকায় ১৫০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় নতুন করে বিদ্যালয় স্থাপনের আবেদন নিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। আবেদনে উপজেলা থেকে আগে পাঠানো প্রস্তাবিত বিদ্যালয় সমূহের জন্যও কাগজপত্র পাঠাতে হবে।

যেসব তথ্য দিয়ে আবেদন করতে হবে :: বিদ্যালয় সমূহের আবেদন যথাযথ যাচাই-বাছাইয়ের লক্ষ্যে সংযুক্ত সকল যাচিত কাগজপত্রের সফট কপি (Excel worksheet-4 Unicode Nikosh BAN ফন্টে) পূরণ করে dirplandpe@gmail.com অথবা adplandpe@gmail.com ঠিকানায় আগামী ১৮ মে’র মধ্যে পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো অপূর্ণাঙ্গ আবেদন বিবেচনা করা হবে না।

এছাড়াও আরও ১১ ধরনের তথ্য দিয়ে এ আবেদন করতে হবে। তারমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে গঠিত কমিটির কার্যবিবরণী, উপজেলা পর্যায়ের গঠিত কমিটির সুপারিশ, চারদিকের (উত্তর, দক্ষিণ, পশ্চিম, পূর্ব) প্রাথমিক স্কুলের দূরত্ব ও ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা, প্রস্তাবিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান, দুই কিলোমিটারের মধ্যে কোনো বিদ্যালয় থাকলে সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা বা অন্য কোনো বিষয় থাকলে তা উল্লেখ করতে হবে।

প্রস্তাবিত গ্রামে কোনো বিদ্যালয় আছে কি না, নিজস্ব জমি আছে কি না, না থাকলে বিকল্প প্রস্তাব কী হবে, জমি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না, জমি থাকলে তা বিদ্যালয় করার মতো উপযোগী কি না এসব তথ্য দিতে হবে।

প্রস্তাবিত গ্রামে মৌজার সংখ্যা কত এবং প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা কত (বয়স ৫ থেকে ১১ বছর)। এসব তথ্য দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তা অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Latest from Blog

x
English version