
সিলেট জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে জেলার আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, জৈন্তাপুর থানার চাঞ্চল্যকার নিশাত হত্যা মামলার ডাবজ্জীন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ফখরুল ইসলাম বকুলকে গ্রেফতার করেছে কানাইঘাট থানা পুলিশ।
পুলিশ সুপারের নির্দেশে সিলেট জেলার কানাইঘাট থানা পুলিশের একটি একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত গত ২৯ মার্চ বুধবার অভিযান পরিচালনা করে জৈন্তাপুর থানা এলাকা থেকে ২০১৫ সনের ৩০ জুন জৈন্তাপুর উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম গ্রামের মন্তাজ আলীর ছেলে ওসমান গনি নিশাত(১৭) হত্যা করা হয়৷ এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী কানাইঘাট উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে ফখরুল ইসলাম বকুল(৪০) কে গ্রেফতার করা হয়৷ গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
প্রসঙ্গ : নিহত ওসমান গনি নিশাত(১৭) কানাইঘাট থানাধীন চতুল বাজারে পিতা মন্তাজ আলীর মুদির দোকানে কাজ করত। একটি মেয়ের সাথে প্রেম নিবেদন সংক্রান্ত বিষয় জেরধরে মামলার এজাহার নামীয় আসামী রেজওয়ান আহম্মদ ও ভিকটিম ওসমান গনি নিশাতের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। দ্বন্দ্বের জের ধরিয়া নিশাত’কে হত্যার উদ্দেশ্যে আসামী রেজওয়ান আহম্মদ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে মামলার অপরাপর আসামীদের ভাড়া করে। সকল আসামীরা পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক নিশাতের মুদির দোকানে গল্পের ছলে নিশাতকে প্রথমে প্রাণ জুসের সহিত নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে ঝাকানাকা তৈরী করে পান করায়। তারপর তাহাকে স্থানীয় চতুল বাজারের নিকটবর্তী দূর্গাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণে একটি পরিত্যক্ত ডোবায় নিয়া যায় এবং হত্যাকান্ডের ঘটায়। পরবর্তীতে এই ঘটনায় কানাইঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্মকর্তা এসআই নিরস্ত্র মোঃ জসিম উদ্দিন মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৫ সনের ৩১ আগষ্ট ১৪৮ নম্বর অভিযোগপত্র ৩০২/২০১/ ২০১/৩৪ পেনাল ১৮৬০ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন। বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালত মামলাটি বিচারকার্য শেষে ২০২২ সনের ১০ আগষ্ট আসামী রেজওয়ান আহম্মদ(২৮) ও দুলাল আহম্মদ(৪২) কে আমৃত্যু এবং গ্রেফতারকৃত ফখরুল ইসলাম বকুল(৪২) ও নাজিমুর রহমান(৩৫) দ্বয় যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশক্রেম প্রেস রিলিজ প্রকাশ করেন জেলা পুলিশের মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা শ্যামল বনিক ।