নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদে উপাচার্যকে তার কক্ষে ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষক কর্মকর্তারা ৷
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম রোস্তম আলীর ভাতিজিসহ শতাধিক বিতর্কিত নিয়োগ নিয়ে হট্টগোলে রিজেন্ট বোর্ড সভা পণ্ড হয়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রিজেন্ট বোর্ডের সভা শুরু হয়। পরে দুপুর ১২টার থেকে বিতর্কিত নিয়োগ দেওয়া নিয়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম আব্দুল আলীম বলেন, পূর্ব নির্ধারিত এ সভা বেলা ১১টায় উপাচার্যের কক্ষে শুরু হয়। সভায় শতাধিক নিয়োগ, আপগ্রেডেশন ও শিক্ষকদের এমফিল পিএইচডি অনুমোদনের কথা ছিল। উপাচার্য স্যার নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি। তিনি তাঁর ভাতিজিসহ ১০২টি পদে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করেন।
দুপুরে সভা চলাকালে বিতর্কিত নিয়োগ ও অনিয়ম নিয়ে রিজেন্ট বোর্ড সদস্যরা প্রশ্ন উত্থাপন করেন। এ সময় উপাচার্য রোস্তম আলী উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। শিক্ষকদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে হট্টগোল শুরু হলে, সভা বাতিল ঘোষণা করেন তিনি।
পরে দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষক কর্মকর্তারা উপাচার্যের কক্ষে তাঁকে অবরুদ্ধ করেন। শিক্ষকদের দাবি, শিক্ষকদের আপগ্রেডেশন, বিদেশ গমন, পিএইচডি, এমফিলসহ অন্যান্য বিষয় গুলো নিষ্পত্তি না করে তিনি নিয়োগ বাণিজ্যের অপচেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে উপাচার্য ড. এম রোস্তম আলীর সঙ্গে কথা বলার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য পাবনা-১ আসনের সাংসদ শামসুল হক টুকু বেলা আড়াইটার দিকে উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি ভিসির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি সংক্ষুব্ধ শিক্ষকের সঙ্গে সমন্বয় করে আগামী ২৪ তারিখে পরবর্তী জরুরি সভা করবেন। আশা করি উদ্বুদ্ধ সমস্যার সমাধান হবে।
Leave a Reply