//

পানি বিক্রয়ে রজব আলীর জীবন সংসার, কোভিট-১৯ এ মিলেনি সহায়তা

11 mins read

করোনা ভাইরাসের সংক্রামন বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন চলছে। বন্দ রয়েছে হোটেল রেস্তুরা, চা-দোকান, পান দোকান সহ অন্যান্য দোকান গুলো। কুয়ার পানি বিক্রয় করে চলে রজব আলী’র ৬ সদস্যের সংসার।

আলাপকালে রজব আলী জানান, ২০টাকা মূল্যে তিনি জৈন্তাপুর বাজারে ছোট-বড় সব কয়েকটি দোকানে পানি বিক্রয় করেন। পানি বিক্রয় করে ছয় সদস্যের পরিবারের ভরণ পোষন চলে। নিজের ১শতক জমি জমা নেই। ২০-২২ বৎসর যাবৎ নিজপাট মোরগাহাঁটি এলাকার সরকারি খাঁস জমিতে বসবাস করে আসছেন। জমিটিও তিনি বন্দোবস্ত নিতে পারেননি।

কোভিট-১৯ শুরু হওয়ার পর হতে তিনি মানবেতর জীবন যাপন করছেন। পানি সরবরাহ না করলে তাদের চুলা জ্বলে না। সরকারি বেসরকারি ভাবে পাননি কোন সাহায্য সহযোগিতা। পানি বিক্রয়ই তার একমাত্র পেশা। তার তিন মেয়ে, এক ছেলে রয়েছে। তার মধ্যে এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। ১৮বৎসরের ছেলেকে পরিবারের হাল ধরার জন্য মিস্ত্রি সহযোগী হিসাবে কাজে পাঠন। কিন্তু কোভিট-১৯ পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে ছেলেও আর কাজে যেতে পারে না।

বাজারের দোকানপাঠ বন্ধ থাকায় তিনিও আগের মত পানি বিক্রয় করতে পারেন না। বর্তমান পরিস্থিতিতে ২০টাকা করে ৫ হতে ৭ভার পানি বিক্রয় করেন মাত্র। তা দিয়ে কোন ভাবে চলছে তার পরিবার। রজব আলী আরও জানান, সরকার অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বাড়ী তৈরী করে দিচ্ছে, কোভিট-১৯ সময় বিশেষ সহায়তা সহ খাদ্য দ্রব্য বিতরণ করে। আমি কিংবা আমার পরিবার আজ পর্যন্ত কোন সহায়তা পাইনি।

বেঁচে থাকার জন্য কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রজব আলী দৈনিক ৫ হতে ৭ ভার পানি বিক্রয় করে মানবেতর জীবন যাপন করছে। লগডাউন পরিস্থিতি চলতে থাকলে কি হবে তিনি বুঝতে পারছেন না। তারপরও তিনি প্রতিদিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে পানি বিক্রয়ের জন্য বাজারে ঘুরে বেড়ান। কারও পানির প্রয়োজন পড়লে তিনি পানি সরবরাহ করেন। তিনি সরকারি খাঁস জায়গায় বসবাস করছেন, জায়গাটি বন্দবস্ত ও সরকারি অর্থায়নে ঘর উপহার পাওয়ার আশা নিয়ে বসে আছেন। তিনি সমাজের বৃত্তবানদের সহায়তা চান।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Latest from Blog

x
English version