পুলিশের ডিসি, এডিসির প্রত্যাহারসহ ১০ দাবি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের

15 mins read

ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান, অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদ ও নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স ম কাইয়ূমকে প্রত্যাহারসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা কলেজ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়। কলেজের ইতিহাস বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র মাসুম বিল্লাহ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী সুজয় বালা লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ঘটনা নিয়ে পুলিশ পক্ষপাতমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। এ জন্য পুলিশকে কলেজ প্রশাসনের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান তাঁরা। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার উসকানি ও ইন্ধনদাতা এবং রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ অন্যান্য দাবি তুলে ধরেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ব্যবসায়ী ও পুলিশের হামলায় ঢাকা কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসার খরচ মার্কেটের মালিক সমিতি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বহন করতে হবে। হামলায় নিহত পথচারীর পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

প্রতিটি মার্কেট ও দোকানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ফুটপাত দখুলমুক্ত, অবৈধ কার পার্কিং উচ্ছেদ ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। প্রতিটি মার্কেটে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য আচরণবিধি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করার দাবি জানান তাঁরা।

ক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্রেতাদের হয়রানি, নারীদের যৌন হয়রানি বন্ধে একটি বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে। চন্দ্রিমা সুপার ও নিউমার্কেটে ঢাকা কলেজের জমির ইজারা বাতিলের দাবিও জানান তাঁরা ৷

গত সোমবার মধ্যরাতে নিউমার্কেটের দোকান মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষ হয়। এর জেরে মঙ্গলবার দিনভর ওই এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে আহত এক পথচারী পরে মারা যান। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুই পক্ষ সড়ক ছেড়ে যাওয়ার পর ওই এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নিউমার্কেটের দোকান মালিক ও কর্মচারী এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের কেউ রাস্তায় নামেননি। এই পরিস্থিতিতে বিকেলে ঢাকা নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম দোকান খোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর আশপাশের মার্কেট গুলোর দোকান খুলতে শুরু করে। কিন্তু বিকেলে ঢাকা কলেজ এলাকায় কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণের পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারপর আর দোকান খোলেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Latest from Blog

x
English version