/

বন্দরবাজারে সিএনজি অটোরিকশা চালকের হামলায় এক ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত

12 mins read

নগরীর বন্দরবাজারে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের হামলায় নির্মমভাবে খুন হয়েছেন এক ব্যাংক কর্মকর্তা।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৮টায় নগরীর বন্দরবাজারের কালেক্টরেট জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই ব্যাংক কর্মকর্তার নাম মওদুদ আহমেদ (৩৫)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার টেংগুরিপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে। নিহত মওদুদ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার অগ্রণী ব্যাংক, হরিপুর গ্যাস ফিল্ড শাখার অফিসার (ক্যাশ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি হরিপুরেই একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার বিকেলে জৈন্তাপুরের হরিপুর থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় (নম্বর- সিলেট-থ-১২-৪২৭১) নগরীর বন্দরবাজারে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ। সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে কালেক্টরেট জামে মসজিদের সামনে আসার পর সিএনজি অটোরিকশা চালক নোমান হাছনুর (২৮) সাথে ভাড়া নিয়ে বাকবিতন্ডা হয় মওদুদের। এক পর্যায়ে নোমানসহ আরো কয়েকজন সিএনজি অটোরিকশা চালক মওদুদ আহমেদকে বেধড়ক মারধর করেন। এ সময় মওদুদ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান মুরাদ আহমেদ ও ইউনুছ আলী নামে দুই ব্যক্তি। রাত ৮টা ৪২ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান মওদুদ আহমেদ।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে হাজির হন বন্দরবাজার ফাঁড়ির আইসি এসআই মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু ততক্ষণে নোমান হাছনুসহ অন্য ঘাতকেরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ওসমানী হাসপাতালে পৌঁছে সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) নিহত মওদুদের বড়ভাই আব্দুল ওয়াদুদ বাদি হয়ে সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের টুকেরগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে সিএনজি অটোরিকশা চালক নোমান হাছনুর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ একাত্তরের কথাকে জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ। কিন্তু জড়িতরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে একজনকে সনাক্ত করেছি আমরা। অচিরেই জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Latest from Blog

x
English version