
সাধারণত বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর হয়ে তৃতীয় দেশ থেকে সার আমদানি করে নিয়ে যায় নেপাল। এবার হিমালয়বেষ্টিত দেশটিতে সারের সংকট এতটাই বেড়েছে যে আপৎকালীন পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশের কাছ থেকে সার নেওয়াটাই বিকল্প মনে করছে দেশটি। তাই এবার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কিনছে নেপাল। কর্ণফুলী ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড বা কাফকো থেকে বাজার মূল্যে সার কিনে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) নেপালের কৃষিসামগ্রী কোম্পানি লিমিটেডের (কেএসসিএল) কাছে ওই সার হস্তান্তর করবে।
বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) নেপালের কৃষিসামগ্রী কোম্পানি লিমিটেড (কেএসসিএল) চুক্তিটি সই করবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, শুরুতে দুই দেশের আলোচনা অনুযায়ী ফেরতযোগ্য ঋণের আওতায় নেপালের কাছে বাংলাদেশের সার বিক্রির বিষয়ে চুক্তি হয়। ওই ঋণ পরিশোধের জন্য সময় ধরা হয়েছিল ১৮ মাস। পরে চুক্তির শর্ত শিথিল করা হয়। এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার কাফকো থেকে যে দামে সার কিনবে, নেপাল সেই টাকাই বাংলাদেশকে ফেরত দেবে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদককে জানান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ যে চাহিদা, তা মেটাতে সার আমদানি করতে হয়। যেহেতু প্রতিবেশী নেপাল তাদের সংকটে সার চেয়েছে, তাই দেশটিকে ৫০ হাজার টন সার দেওয়া হচ্ছে। শুরুতে ফেরতযোগ্য ঋণ পরিশোধের আওতায় সার বিক্রির কথা ছিল। এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে, সার নেপালে পৌঁছানোর পর এর মূল্য পরিশোধ করবে নেপাল।
জানা গেছে, নেপালকে যে ইউরিয়া সার দেওয়া হবে, তার প্রতি টনের মূল্য ২৬৩ ডলার। সেই হিসাবে সারের দাম হবে ১১১ কোটি ৭০ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা।
