
ইলেকটোরাল কলেজের ভোটেও জো বাইডেনের জয় নিশ্চিত হয়েছে। এরপরও নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের জয় প্রকাশ্যে স্বীকার করবেন না প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর সঙ্গে নিয়মিত কথা হয়, হোয়াইট হাউসের এমন এক সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
এর আগে হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টাদের বরাতে সিএনএন জানিয়েছিল, ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ মহলের সঙ্গে আলাপকালে দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি যে আর হোয়াইট হাউসে থাকছেন না, তা স্বীকার করেন। যদিও সেই সময়ও তিনি প্রকাশ্যে ভোট জালিয়াতির ভুয়া অভিযোগ এনে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে যাচ্ছিলেন। শুধু তাই নয়, ভোটের ফল উল্টে দিতে নিম্ন আদালতের অঙ্গন পেরিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে তৎপর হওয়ার আহ্বান পর্যন্ত করেছিলেন ট্রাম্প। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলোর রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের উসকানি দিচ্ছিলেন, তাঁরা যেন ইলেকটোরাল ভোটারদের স্লেট বদলে দেন, যাতে তাদের ভোট ট্রাম্পই পান।
শেষোক্ত চেষ্টা নিয়ে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের মধ্যেই কেউ কেউ তামাশা করেছে। আর যখন আগামী ৬ জানুয়ারি ইলেকটোরাল কলেজের ভোট বদলে দেওয়ার জন্য বিতর্কে অবতীর্ণ হওয়ার প্রসঙ্গ এসেছে, তখন হোয়াইট হাউসের এক উপদেষ্টা বিষয়টিকে হেসেই উড়িয়ে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ চেষ্টা হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা এমন কিছু করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। এরই মধ্যে রিপাবলিকান দলের একাধিক আইনপ্রণেতা ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে পরাজয় মেনে না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁদের লক্ষ্য, আগামী ৬ জানুয়ারি ইলেকটোরাল কলেজের ভোট গণনার জন্য প্রতিনিধি পরিষদে উঠলে, এই ভোটের ফল নিয়ে আপত্তি জানানো হবে। একই সঙ্গে ভোট জালিয়াতির বিষয়টিকে বিতর্কের কেন্দ্রে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এসব চেষ্টা প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের অভিষিক্ত হওয়ার পথকে জটিল করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারবে না।