/////

বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম

15 mins read

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইব্রাহিমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

রবিবার (৯ জুলাই) বিকাল ৩টায় গোয়াইনঘাট উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের তোয়াকুল শাহী ঈদগাহ মাঠে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইব্রাহিমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপিসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ছাড়াও সিলেটের সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংঠনের নেতা-কর্মীসহ বিপুলসংখ্যক মুসল্লি অংশ নেন।

জানাজার আগে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তার কফিনের উপর শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করেন।

মোহাম্মদ ইব্রাহিমের জীবন ও কর্মের উপর বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুল হকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী। জানাজা শেষে বৌলগ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে বাবা-কবরের পাশে মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। মোহাম্মদ ইব্রাহিম গত শনিবার রাত ১ টার দিকে বার্ধক্য জনিত রোগে সিলেট নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। মরহুম ইব্রাহীম আলী ৪ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গোয়াইনঘাট উপজেলার তোয়াকুল এলাকার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান সিলেট অঞ্চলে সকলের কাছে সুপরিচিত মোহাম্মদ ইব্রাহীম আলী বিগত প্রায় ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকা গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সংগঠনের চরম দুর্দিন থেকে এ পর্যন্ত তাঁর নেতৃেত্বের প্রতি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ছিল পরম শ্রদ্ধা, আস্থা ও বিশ্বাস। যার ফলে গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাথে ইব্রাহীম আলীর নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল।

মহান মু্ক্তিযোদ্ধের সময় তিনি সীমান্তবর্তী ৫নং সেক্টরের একজন সংগঠকে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর গোয়াইনঘাট উপজেলার অবিভক্ত তোয়াকুল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হিসেবে দির্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর এই মৃত্যুতে গোয়াইনঘাট উপজেলাসহ বিশেষ করে দেশ ও বিদেশে পরিচিত মহলে শোকের ছায় নেমে আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Latest from Blog

x
English version