জৈন্তাপুর সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ৬নং চিকনাগুল ইউপির রাস্তা বিহীন সড়কে প্রকল্প দেখিয়ে ৭০হাজার টাকার প্রকল্প গ্রহন করা হয়। এনিয়ে জন মনে কৌতুহল। মালিকানাধীণ ভূমিতে সি.সি ঢালাই করতে গেলে সংঘর্ষের আশংকা বিদ্যমান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে চিকনাগুল বাজারের পশ্চিম রাস্তা তালগাছ হতে ডাক্তারের বাড়ী পর্যন্ত কোন সরকারী কিংবা ব্যক্তি মালিকানাধীন রাস্ত নেই। সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক হতে হাজী মতলিব আলীর বাড়ী পর্যন্ত ব্যক্তিগত রাস্তা রয়েছে। কিন্তু প্রকল্পে উল্লেখিত তালগাছ হতে ডাক্তারের বাড়ী পর্যন্ত কোন সরকারী কিংবা বেসরকারী রাস্তা নেই। কহাইগড় মৌজার ৪২৬ নং খতিয়ানের ১৫৯ নং জে.এল ৬২নং দাগে ভিটা শ্রেণীর ব্যক্তি মালিকানাধিন ভূমি। বিগত ২০১৪ সনে কতিপয় ব্যক্তি তাদের স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে ব্যক্তির মালিকানাধিন ভূমি রাস্তার দাবী করে দেওয়াল ভেঙ্গে এবং হাজী মতলিব আলীর বাড়ী প্রবেশ করে হামলা মামলা করে করে দখলের চেষ্টা চালায়। চতুর ভূমিখেকু চক্রটি কৌশলে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের জৈন্তাপুরের স্মারক নং-১৯৩, তারিখ ১৭-০৯-২০২০ আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষণ (টি.আর) কর্মসূচীর আওতায় ১ম পর্যায়ে নগদ অর্থের বরাদ্ধের বিপরীতে প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাননীয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি সাহেবকে ভূল ব্যাখ্যা উপস্থাপন করে। তারপ্রেক্ষিতে ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ইং তারিখের স্মারক নং- ৪৯.০০.০০০০.০১০.৩১.০০১.২০.৫৪৮(৮) সুপারিশ কৃত তালিকায় “১৮নং চিকনাগুল বাজারের পশ্চিম রাস্তা তালগাছ হতে ডাক্তারের বাড়ী পর্যন্ত” রাস্তা বিহীন সড়কে সিসি ঢালাই বাবাদ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্ধ করায়।
উল্লেখিত রাস্তাটি সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক হতে তালগাছ পর্যন্ত এবং পশ্চিম পার্শ্বে ডাক্তারের বাড়ী গ্যাসফিল্ডের রাস্তা পর্যন্ত রাস্তায় ইতোপূর্বে সরকারী বরাদ্ধে রাস্তা নির্মাণ, মেরামত, ইট সলিং, সি সি ঢালাই, গার্ডওয়াল নির্মাণ করা হয়নি। মন্ত্রী মহোদয়কে ভূল তথ্য উপস্থাপন করে ভূমিখেকু চক্রের সদস্যরা তাদের অসৎ উদ্দেশ্য সফল করার জন্য সুপারিশকৃত বরাদ্ধের তালিকায় নাম উপস্থাপন করায়। ভূমির মালিক হাজী মতলিব মিয়ার ছেলেরা প্রতিবেদকে জানান, আমার ভূমির উপর দিয়ে সরকারি কোন রাস্তা নেই, তামাবিল রাস্তা হতে আমার বাড়ী পর্যন্ত আমাদের নিজস্ব ভূমি নিজস্ব রাস্তা রয়েছে। ভূমি খেকু প্রকৃতির তিনটি পরিবারের লোকজন ২০১৪ সনে আমার বাউন্ডরী দেওয়াল ভেঙ্গে পেশি শক্তির বলে আমাদের কে মারধর করে মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলা করে। প্রতিটি মামলায় আদালত আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। চক্রটি অতি সম্প্রতি জেনাল সেট্রেলমেন্ট অফিসের মাধ্যমে আমাদের মালিকানা ভূমির মন্তব্য কলামে চলাচলের ব্যবহারযোগ্য দাবী করে মন্তব্য করে। এজন্য আমরা আদালতে মামলা করি, বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ব্যক্তিমালিকানাধীণ ভূমি এবং রাস্তা বিহীন অবস্থায় সি.সি ঢালাই করতে গেলে রক্তক্ষীয় সংঘর্ষের আশংকা বিদ্যমান রয়েছে। আদলতে বিচারাধীন থাকাবস্থায় জায়গা দখলের জন্য মন্ত্রী মহোদয়কে ভূল ব্যাখ্যা উপস্থাপন করে রাস্তা বিহীন অবস্থায় সি সি ঢালাইয়ের তালিকায় নাম অন্তভূক্ত করায় চক্রটি। এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমিতে এবং সম্পূর্ণ রাস্তা বিহীন সড়কে সি সি ঢালাই প্রকল্পটি বাতিল করা প্রয়োজন।