মিয়ানমারে গণতন্ত্র সমুন্নত দেখতে চায় বাংলাদেশ

11 mins read

নিকট প্রতিবেশী মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আর সাংবিধানিক পন্থা সমুন্নত থাকার প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ। আর বন্ধু প্রতীম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা দেখতে চায়।

মিয়ানমারে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের বিষয়ে বাংলাদেশ আজ সোমবার এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বার্তায় বলেছে, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস করে। আশা করে যে মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও সাংবিধানিক পন্থা বজায় থাকবে। রোহিঙ্গাদের স্বতঃপ্রণোদিত, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য ওই দেশের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আশা করে, এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করতে পারে বলে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে উদ্বেগ বাড়ছিল। শেষ পর্যন্ত সেই আশঙ্কাই সত্যি হলো। আজ সকালে এনএলডির মুখপাত্র মিও নয়েন্ট বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, দলীয় নেত্রী সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তসহ দলের অন্য নেতাদের ভোরে সেনাবাহিনী তুলে নিয়ে গেছে। পরে সেনাবাহিনীই সু চির সরকার উৎখাতের ঘোষণা দেয়।গত নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে সু চির দল বিপুল জয় পায়। কিন্তু দেশটির ক্ষমতাশালী সেনাবাহিনী এই নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তোলে। দেশটির সামরিক টেলিভিশনে আজ সকালে ঘোষণা করা হয় যে সেনাবাহিনী দেশের ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়েছে। তারা এক বছরের জন্য মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারি করেছে। গত বছরের নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে জালিয়াতির জন্য তারা বেসামরিক সরকারের জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে। সেনা অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে টেলিফোন, মুঠোফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা বাধাগ্রস্ত করছে দেশটির সামরিক কর্তৃপক্ষ। দেশটির রাজধানীসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। এরই মধ্যে এই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে জনবিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন অং সান সু চি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Latest from Blog

x
English version