মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখায় দুইপক্ষের চলাচলের যৌথ রাস্তা হঠাৎ প্রতিহিংসাবশত একপক্ষ বাঁশের বেড়ায় বন্ধ করে দেয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে ১১ পরিবারের শতাধিক সদস্য। প্রায় এক বছর ধরে ভুক্তভোগীরা কৃষিক্ষেত মাড়িয়ে যাতায়াত করছেন।
সোমবার ভুক্তভোগীরা এব্যাপারে রাস্তা বন্ধকারী লাল মিয়া ও তেরা মিয়ার বিরুদ্ধে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পেনাগুল গ্রামের মাছুম আহমদ, তারেক আহমদের বাবা-চাচারা রিয়াজ উদ্দিন ও নুর উদ্দিন বসতবাড়িতে যাতায়াতের সুবিধার্থে মকরিম আলীর নিকট থেকে ৮ শতাংশ ভুমি ক্রয় করেন। এই ভুমির ওপর দিয়ে প্রায় ৪০ বছর ধরে রিয়াজ উদ্দিন ও নুর উদ্দিনের পরিবারের লোকজন এবং বিক্রেতা মকরিম আলীর পরিবারের লোকজন যৌথভাবে যাতায়াত করছেন। প্রায় ১ বছর আগে হঠাৎ মকরিম আলীর ছেলে লাল মিয়া ও তেরা মিয়া যৌথ রাস্তার একাংশে বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেন। এতে ১১ পরিবারের শতাধিক সদস্য মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছেন। তারা বাধ্য হয়ে কৃষি জমির কাদা, মাটি ও পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করছেন।
ভুক্তভোগী তারেক আহমদ ও মাছুম আহমদ জানান, প্রতিহিংসা ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে লাল মিয়া ও তেরা মিয়া তাদের যাতায়াতের রাস্তা বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে প্রায় এক বছর ধরে আমরা ১১ পরিবার মারাত্মক অসুবিধা ভোগ করছি। নিরুপায় হয়ে তাদের বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তারা আরো অভিযোগ করেন, আমাদের বাবা-চাচাদের নিকট মকরিম আলীর বিক্রয় করা ৮১ শতাংশ ও ১৪ শতাংশ ভুমির অধিকাংশ ভুমি লাল মিয়া ও তেরা মিয়া বুঝিয়ে দেননি। বিক্রয় করা ভুমিতে তারা অট্টালিকা বানিয়ে দখলে নিয়েছে। ভোগদখল বুঝিয়ে দিতে বললেই হুমকি-ধমকি দেন। প্রায় ১ বছর ধরে আমাদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। তারা অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় জরিপ মাপ কোন কিছুই মানছে না।
এব্যাপারে লাল মিয়া ও তারা মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেননি। তাই তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউপি চেয়ারম্যান আজির উদ্দিন জানান, কয়েকটি পরিবারের লোকজনের চলাচলের রাস্তা বন্ধের লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযুক্তদের নোটিশ করা হয়েছে।