অষ্টম ধাপের ভোটগ্রহণের পর এক শ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়ে ফের দুঃখ প্রকাশই করেছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ৷
আট ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষ করলো নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব নির্বাচনের সহিংসতায় শতাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। শুরু থেকেই সহিংস ঘটনায় নিহতের দায় না নেওয়ার কথা জানিয়ে আসে ইসি। বরাবরই দুঃখপ্রকাশ করেছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অষ্টম ধাপের ভোটগ্রহণের পর এক শ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়ে ফের দুঃখ প্রকাশই করেছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের লক্ষ্যে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এরপরও কোথাও কোথাও সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এতে কিছু প্রাণহানি ও আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ জন্য নির্বাচন কমিশন দুঃখ প্রকাশ করছে।
অশোক কুমার আরও বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান একটি মহা কর্মযজ্ঞ। এতে ব্যাপক জনবলের সম্পৃক্ততা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, কোস্ট-গার্ড, আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছেন।
সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোট আটটি ধাপে মোট চার হাজার ১৩৬টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব নির্বাচনে ৭২.২০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইভিএমের ধীর গতির বিষয়ে কারিগরি কমিটির বৈঠক হয়েছে আজ। ইভিএমের কারিগরি বিষয়ের সঙ্গে যারা প্রথম থেকে জড়িত ছিলেন, তাঁরা মতামত দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, ইভিএমে ভোট দিতে প্রথম ধাপে ফিঙ্গার না মিললে ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড সময় নেয়। তারপর আবার ফিঙ্গার দিতে হয়। এ জন্য ইভিএমে ভোটগ্রহণে দেরি হচ্ছে। বাস্তবিক অর্থে মেশিনের কারণে কোনো ধীর গতি হচ্ছে না।
এ সময় ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান ও যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহমদ খান উপস্থিত ছিলেন।