জেপি ডেস্ক :
‘সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায়’ স্লোগানে হেল্প দ্য ফিউচার (এইচটিএফ) এর আয়োজনে ২৮ মার্চ সোমবার ঢাকা আগারগাঁও মুক্তিযুদ্ধা জাদুঘরে শুরু হয়েছে আলোকচিত্র প্রদর্শনী উৎসব ‘শাটার লাইট সিজন ৫, চলবে ৩০ মার্চ বুধবার পর্যন্ত। সোমবার দুপুর ২টায় ৩ দিন ব্যাপী এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী উৎসবের উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি।
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাইফুল্লাহ খালেদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাজাহান খান বলেন, এই উৎসবে না আসলে আমি জানতে পারতাম না ফটোগ্রাফাররা এতো ভালো ছবি তুলে। তাদের তোলা ছবি দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। ছবি দেখে বিখ্যাত চিত্র শিল্পী জয়নুল আবেদীন এর কথা মনে পরেছে। তরুণদের এই আয়োজন অব্যাহত থাকুন আর সফল হোক।
দেশে শিশু কিশোর ও তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজ করে থাকে স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠন, এর ধারাবাহিকতায় এবার ৫ম বারের মতো আলোকচিত্র প্রদর্শনী উৎসব এর আয়োজন করেছে হেল্প দ্য ফিউচার (এইচটিএফ)। এবার সারা দেশ থেকে ছবি জমা পরে ছিল সাড়ে ৪ হাজার এর মধ্য থেকে প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচিত হয়েছে ৬০টি ছবি। শিশু কিশোদের জন্য ছবি জমা দেওয়ার বিভাগ ছিল ‘উন্মুক্ত’ প্রতিযোগিতার অংগ্রহণের জন্য সব ধরণের ছবি জমা দিতে পেরেছেন তারা। এবং তরুণদের জন্য ছবি জমা দেওয়ার বিভাগ ছিল ‘জলবায়ূ পরিবর্তন ও করোনা’ আর এই দুটি বিভাগ থেকে পুরষ্কার পাবে মোট ৬জন আলোকচিত্রী। পুরষ্কার হিসেবে থাকছে ক্রেস্ট, সনদ ও আথিক প্রণোদনা। আগারগাঁও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ৫ নম্বর গ্যালারিতে এই আলোকচিত্র উৎসবটির প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত।
পুরষ্কারের জন্য ছবি নিবার্চিত করার জন্য নির্বাচক হিসেবে আছেন ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার প্রণব ঘোষ, ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার জয়িতা তৃষা, নারায়াণগঞ্জ ফটোগ্রাফি ক্লাব এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতি জয় কে রায় চৌধুরী ও প্রথম আলো পত্রিকার চিত্র সাংবাদিক সাবিনা ইয়াসমিন।
হেল্প দ্য ফিউচার (এইচটিএফ) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাইফুল্লাহ খালেদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মাঝে ফটোগ্রাফির প্রতি আগ্রাহ তৈরি ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আমরা প্রতি বছর উৎসবটির আয়োজন করে থাকি। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় গত বছর আমরা আয়োজন করতে পারিনি। শিক্ষার্থীদের মাঝে ইতিবাচক মনোভাব, দেশপ্রেম এর প্রতি উদ্ধুদ্ধ করতে আমরা এ আয়োজন অব্যাহত রাখবো। এবার দুটি বিভাগে প্রতিযোগিতার বিষয় হিসেবে ধরা হয়েছে এর মধ্যে দেশের জলবায়ূ পরিবর্তন ও করোনা পরিস্থিতির উপর একটি বিভাগ রাখা হয়েছে, আশা রাখি এই উৎসবটির মাধ্যমে অনেক তরুণ ফটোগ্রাফার উঠে আসবে, ছবির মাধ্যমে আগামী দিনে সমাজ পরিবর্তনে তারাও ভূমিকা রাখবে।’
আগামী ৩০ মার্চ উৎসবটির শেষ দিন পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি।