////

শিক্ষাপ্রতিষ্টানে শিশুদের উপর শারিরিক নির্যাতনের কুফল

8 mins read

শিক্ষাপ্রতিষ্টানে শিশুদের উপর শারিরিক নির্যাতনের কুফল

ছবিতে বোঝানো হয়েছে কোন শিশুকে স্কুলে শারীরিক বা মানুষিক শাস্তি দিলে শিশু স্কুলে যাবার আগ্রহ হারায় ফলে স্কুলে যেতে চায়না।

► শিশু আইন ১৯৭৪ অনুযায়ী ৯ বছর বয়স পর্যন্ত কোনো শিশুকে শাস্তি দেয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
► সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ১৯৮৫-তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শারীরিক শাস্তির বিষয়টি ‘অসদাচরণ’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের বেত্রাঘাত করা, আটকে রাখা, প্রহার করা, চুল কেটে দেয়া, শিকল দিয়ে আটকে রাখাসহ যে কোনো ধরনের শাস্তি প্রদান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়।
► অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। যাদের ক্ষেত্রে এ দুটি আইন প্রযোজ্য হবেনা, তাদের ক্ষেত্রে ফৌজদারি আইনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যাবে। আঘাত বা নিষ্ঠুরতার মাত্রা গুরুতর হলে দন্ডবিধিসহ প্রচলিত অন্যান্য আইনেও দায়ী ব্যক্তি অভিযুক্ত হতে এবং সাজা পেতে পারেন।

শিশুকে শারীরিক বা মানুষিক ভাবে শাস্তি দেয়ার কুফল :
১. শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হয়। ২. শিশু মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পরে। ৩. শিশু পড়াশুনা ও ভাল আচরন করা ও স্কুলে যাওয়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ৪. স্কুল বা বাড়ী থেকে পালিয়ে যেতে পারে। ৫. বখাটে হয়ে খারাপ পথে যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Latest from Blog

x
English version