//

সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের অপর নাম মৃত্যুকুপ, দূর্ঘটনা রোধে প্রশাসনের নেই কোন উদ্যোগ

17 mins read


সিলেটের তিন উপজেলাবাসীর কাছে মৃত্যুকুপে চিহ্নিত হয়ে উঠছে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক। মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ দূর্ঘটনার আত্মংক নিয়ে যাতাযাত করছে। যখন তখন ঘটছে দূর্ঘটনা, প্রাণহানি সহ পঙ্গুত্ব বরণ করছে যাত্রী সাধারণ ও পথচারিরা। দূর্ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের পক্ষ হতে নেই কোন উদ্যোগ।
সম্প্রতি সিলেট-তামাবিল মহা সড়কে কয়েকটি দূর্ঘটনার কারনে উত্তর-পূর্ব সিলেটের বৃহত্তর জৈন্তিয়া তিন উপজেলা জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট উপজেলার সাধারণ মানুষের মাঝে আত্মংকের নাম হয়ে উঠেছে মহাসড়কটি। প্রতিনিয়ত মহাসড়কে কোন না কোন ভাবে ঘটে চলছে দূর্ঘটনা। দূর্ঘটনায় অকালে ঝরে পড়ছে তাজা প্রাণ, পুঙ্গুত্ব বরণ করছে যাত্রী সাধারণ সহ সাধারণ নাগরিকদের।
সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক ঘুরে দূর্ঘটনার কারন অনুসন্ধানে যানা যায়, (এক) অদক্ষ লাইসেন্স বিহীন চালক, ফিটনেস বিহীন গাড়ী, নাম্বার বিহীন সিএনজি (অটোরিক্সা), সিএনজি চালিত টমটম, ব্যাটারী চালিত টমটম, লক্কর ঝক্কর লেগুনা, হিউম্যান হুলার, বেপরোয়া গতির ডি.আই ট্রাক, পিকআপ ট্রাক, ড্রামট্রাক গুলো। (দুই) সংযোগ সড়ক গুলোর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অপরিকল্পিত ভাবে সড়ক দখল করে ঘন্টার পর ঘন্টা গাড়ী দাঁড় করে রাখা। (তিন) সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের টোকেন বানিজ্যের কারনে নাম্বার বিহীন গাড়ীর চলাচল। (চার) চিকনাগুল, হরিপুর, দরবস্ত, সারীঘাট উত্তর-দক্ষিণপাড়, জৈন্তাপুর বাজার, ৪নং বাংলাবাজার এলাকা গুলোতে দায়সারা ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশের কার্যক্রম। বিশেষ করে উল্লেখিত কারন গুলোর জন্য সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে দূর্ঘটনার অন্যতম কারণ পরিলক্ষিত হয়।


ইমরান আহমদ সরকারি মাহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ খায়রুল ইসলাম বলেন, কয়েক বৎসর পুর্বে মহাসড়ক যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে সরকার কঠোর নির্দেশনা জারী করে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও শ্রমিক নেতাদের দৌরাত্বের কারনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে যানবাহন চলাচলের ফলে দূর্ঘটনার অন্যতম কারণ। তিনি দাবী করেন অভিলম্বে মাহাসড়কে নির্ধারিত বাজার গুলোতে ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশের কার্যক্রমের প্রতি উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারী করা, সেই সাথে উল্লেখিত যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এছাড়া যত্রতত্র উল্লেখিত গাড়ী গুলো মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ করা।
ক্যাপ্টেন রশিদ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল বিজন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, অদক্ষ লাইসেন্স বিহীন চালক, লক্কর ঝক্কর পরিবহণ, নাম্বার বিহীন সিএনজি, ব্যাটারী চালিত টমটম চালাচল বন্ধ করা। বাজার ও সংযোগ সড়ক গুলোর মধ্যে সর্তকতামূলক, গতিরোধক সাইনবোর্ড স্থাপন করা, বাজার এলাকা ও সংযোগ সড়ক এলাকায় জেব্রা চিহ্ন অংকন করা হলে দূর্ঘটনা কমে আসবে।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগির আহমদ বলেন, সম্প্রতি সিলেট-তামাবিল বেশ কয়টি দূর্ঘটনার কারনে, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষহতে দূর্ঘটনা রোধে করনীয় শীর্ষক কয়েকটি বিষয় চিহ্নিত করে উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। শিঘ্রই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Latest from Blog

x
English version