
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) থেকে রাঙ্গাবালীতে ৫ গ্রামে ভোর রাতে সেহেরি খেয়ে পবিত্র রমজানের রোজা রাখা শুরু হয়েছে। প্রায় এক শতাব্দী ধরে ওই সব গ্রামে মুসলমানরা সৌদি আরবের সঙ্গে সংগতি রেখে আগাম রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উদযাপন করে আসছেন।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের চন্দনাই পীর সাহেব মোহাম্মদআলীর অনুসারী হয়ে এসব অঞ্চলের মুসলমানগন চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল হয়ে প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে উপজেলার পশুরবুনিয়া, সেনেরহাওলা, নিজহালা, ফুলখালী ও কোড়ালিয়া সহ ৫টি গ্রামের বাসিন্দারা পালন করে থাকেন।
সৌদি আরবের সঙ্গে সংগতি রেখে রোজা রাখার ব্যাপারে মো. মনিরুল ইসলাম নামের একজন মুসল্লি জানান, গত দুইদিন ধরে নফল রোজা রেখে আসছি। রোজা থেকে রমজানের চাঁদ দেখার কথা কিতাবে আছে। তাই আমরা নফল রোজা রেখেছি। ভোর রাতে সেহেরী খেয়ে মঙ্গলবার প্রথম রোজা রাখা শুরু করেছি।
এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে মাওলানা মো. সবুজ মোল্লা বলেন, চট্টগ্রামের চন্দনাই পীর সাহেব মোহাম্মদআলীর অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে সংগতি রেখে আগাম রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উদযাপন করে আসছেন। ওই সব মুসল্লিরা ইসলামের চার মাজহাবের মধ্যে হানাফি মাজহাবের অনুসারী। প্রায় এক শতাব্দী ধরে ওই সব গ্রামে এ নিয়ম পরিচালিত হয়ে আসছে।