ফিলিপাইনে মৌসুমি ঝড় মেগির পর ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলা এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অন্তত ১৬৭ জন মারা গেছে। এ ছাড়া ১১০ জন নিখোঁজ রয়েছে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে, বন্যা ও ভূমিধসের কারণে ১৯ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, তুষারপাত, ঝড় ও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ফিলিপাইনের মধ্য লেইতে প্রদেশের বেবে শহরের আশপাশের গ্রামগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব গ্রামের ৮০ শতাংশ বাড়ি সমুদ্রে ভেসে গেছে। এ ছাড়া দক্ষিণ দাভাও অঞ্চল, মিন্দানাও এবং কেন্দ্রীয় নেগ্রোস ওরিয়েন্টাল প্রদেশেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
ফিলিপাইনের কোস্ট গার্ডের পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, উদ্ধারকারীরা আহতদের স্ট্রেচারে করে বুকসমান পানির মধ্য দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া ভেলায় করেও অনেক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ফিলিপাইনে বছরের প্রথম ঝড় এটি। দেশটিতে সাধারণত প্রতিবছর এ ধরনের ২০টি ঝড় আঘাত হানে। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রলয়ংকরী ঝড় রাই ফিলিপাইনের দক্ষিণ-পূর্ব দ্বীপগুলোতে আঘাত হানলে প্রায় ৩৭৫ জন নিহত হয়েছিল এবং প্রায় ৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এর প্রায় চার মাস পর মেগি ঝড় আঘাত হানল।
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বেবের একজন পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার মারিসা মিগুয়েল ক্যানো বলেছেন, এখন শুষ্ক মৌসুম হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই সম্ভবত ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা হচ্ছে। বিজ্ঞানী বলছেন, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ের তীব্রতা বেড়েছে। ২০০৬ সাল থেকে ফিলিপাইন মারাত্মক ঝড়ের সম্মুখীন হচ্ছে।