সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে হলদে রংয়ের আমন ধান। যেদিকে চোখঁ যায় শুধু হলুদ রংয়ের ধান। পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে। পাকা ধান হিমেল বাতাসে দোল খাচ্ছে। ধানের ফলন ভালো হওয়ায় আনন্দে কৃষকরা ধান কাটছেন। আউশের খেত ভয়াল বন্যায় তলিয়ে যাওয়ায় এবার তারা আমন থেকে পোষানোর স্বপ্ন দেখছেন। সে পরিমান শ্রম ও দিয়েছেন তারা।তাই ধানের ফলন ভালো হয়েছে মনে করেন কৃষকরা।
সরজমিনে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মাঠের ধান ক্ষেত ঘুরে দেখা যায় হলুদ রংয়ের পাকা ধান দোল খাচ্ছে বাতাসে। কোথাও বা ধান কাটতে ধান টানতে ব্যাস্ত কৃষকরা। কেউ আবার আধুনিক প্রযুক্তির মেশিনের মাধ্যমে ধান কেটে নিচ্ছেন। কেউ কেউ মাঠে ধান মাড়াই করে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। বাড়ি মাঠ ঘাঠ সর্বত্রই এখন এখন ধানের ছড়াছড়ি। ধম ফেলার সূযোগ নেই কৃষক পরিবারের।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসের কর্মকর্তা জানান বন্যা পরবর্তি আমন ধান চাষ করেছেন চাষিরা। ঘুরে দাড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। আমরাও তাদের সব সময় পরামর্শ দিয়ে গেছি যাতে তারা কিছুটা হলে ও ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ পাচঁ ৮ শত ৫০হেক্টর। সে লক্ষ মাত্রা অতিক্রম করে আমাদের কৃষকরা ৫ হাজার ৯ শত ৬১ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন।
চিলুয়া হাওরের কৃষক চান মিয়া বলেন আউশ ধান বণ্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া অনেকটা হতাশ হয়ে পড়ে ছিলাম। তারপর আমন ধান বীজ নষ্ট হয়,তাতে ও হাল ছাড়িনি। নতুন করে বীজ চাষ করে ধান চাষ করি। বেশ ভালো ফলন হয়েছে। আমরা ভালো ফলনে খুশি। বাড়ুয়া হাওরের চাষি তেরা মিয়া বলেন এবার আমনের ফলন ভালো হয়োছে। ভালো আবহাওয়া থাকায় বেশ ভালো ফলন হয়।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার সুব্রত দেবনাথ বলেন আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা অতিক্রম করেছে। কৃষকরা পরিশ্রম করেছে যার ফলে ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকরা এতে বেশ খুশি,আমরাও খুশি।