বিয়ানীবাজারের ১০ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে কে কত ভোট পেলেন

25 mins read

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ১০ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া উৎসবের আমেজের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। উপজেলার ৯৫টি কেন্দ্রে রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে টানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোটারদের স্বতঃস্ফুর্ত উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। বিশেষ করে প্রতিটি কেন্দে নারী ভোটারদের উপস্থিতি থাকায় কেন্দ্রগুলোতে ছিল উৎসবের আমেজ। তবে মোল্লাপুর, লাউতা, মুড়িয়া ও মাথিউরা ইউনিয়নের ১টি করে কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া উপজেলার সব কয়টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

উপজেলার ১০ ইউনিয়নের ৩টিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী, ৩টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী, ২টিতে বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ২টি ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন।

১নং আলীনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আহবাবুর রহমান শিশু ৫৫৪৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দি। বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সহসভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন পেয়েছেন ৪৯৮৭ ভোট।

২নং চারখাই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হোসেন মুরাদ চৌধুরী ৮২৮১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ মনোনীত মাহমুদ আলী পেয়েছেন ৬৬৫৭ ভোট।

৩নং দুবাগ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী জালাল আহমদ ৩১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ মনোনীত আব্দুস সালাম পেয়েছেন ৩০৫৩ ভোট। এ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা মুশতাক আহমদ চৌধুরী ২৯৩৮ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজ কমর উদ্দিন পেয়েছেন ২৪৬২ ভোট।

৪নং শেওলা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের জহুর উদ্দিন ৪৪০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতার হোসেন খান জাহেদ পেয়েছেন৩১০৪ ভোট। এ ইউনিয়নে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মাওলানা এনাম উদ্দিন পেয়েছেন ২১১২ ভোট।

৫নং কুড়ারবাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তুমিউর রহমান তোতা ৩৩১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্ব›িন্দ্ব বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সহ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী এ এফ এম আবু তাহের পেয়েছের ৩০৯৮ ভোট। এ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বাহার উদ্দিন পেয়েছেন ১৯৫৮ ভোট।

৭নং মাথিউরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. আমান উদ্দিন ৩৪৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক স্বতন্ত্র প্রার্থী কছির আলী আব্দুর রব পেয়েছেন ২৮৫০ ভোট।

৮নং তিলপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিন জামানত হারিয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন মাত্র ৯২০টি। এ ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সহ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুর রহমান ৩৫১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিবেকানন্দ দাস বিবেক পেয়েছেন ২৭২৬ ভোট।

৯নং মোল্লাপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল মান্নান ৩০৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল করিম পেয়েছেন ২১৯৬ ভোট। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শামীম আহমদ পেয়েছেন ১৩৮৩ ভোট।

১০ নং মুড়িয়া ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আল মামুন ৫৯৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের হুমায়ন কবির পেয়েছেন ৪২১৫ ভোট। এ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুল আমিন ২৩১২ ভোট পেয়েছেন।

১১নং লাউতা ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন ৪৩২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গৌছ উদ্দিন পেয়েছেন ৪০০৬ ভোট। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিল ৩৩৪৯ ভোট পেয়েছেন।
এদিকে বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তারা সন্ধ্যা থেকে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক নূর।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Latest from Blog

x
English version