///

মহিষ ধরতে না পারায় জৈন্তাপুর বাজারে হামলা চালায় বিজিবি

22 mins read

সিলেটের জৈন্তাপুরে জৈন্তাপুর রাজবাড়ী ক্যাম্পের জোয়ানরা সীমান্ত এলাকা দিয়ে নিয়ে আসা ভারতীয় মহিষ ধরতে না পারায় বাজার ব্যবসায়ী পথচারিদের উপর হামলা করে বিজিবি।

সরেজমিনে প্রতক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায়, ৩০ মে সোমবার রাত ৮টায় জৈন্তাপুর উপজেলা রোডের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্বের সম্মুখে সাদা পোষাকে এক ব্যক্তি ভারতীয় মহিষ বোঝাই একটি ডিআই পিকআপ গাড়ীর সম্মুখে দাঁড়ায়। এসময় স্থানীয় জনতা লোকটিকে পাগল আখ্যা দিয়ে রাস্তা হতে সরানোর চেষ্টা করে। সে নিজেকে বিজিবি সদস্যদাবী করে। ততক্ষনে মহিষ বোঝাই ডিআইট্রাকটি বাজারে ভিতরে চলে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় ঐব্যক্তি বিজিবির সোর্সছিল। বিজিবির সোর্সসের দেওয়া তথ্য পেয়ে দ্রæত ঘটনাস্থলে ২জন বিজিবি সদস্য মটর সাইকেল নিয়ে আসে। লোকজন হাঁসা-হাসি করেলে তারা বাজারের দিকে চলে যায়। সেখানে গিয়ে দ্রæত ফোন করে প্রায় ২০/২৫জন বিজিবি সদস্য জৈন্তাপুর পূর্ব বাজারের ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় লোকজনদের উপর হামলা চালায়। বিজিবি। হামলায় ঘটনায় অন্তত ৩০জন আহত হয়েছেন। এদিকে খবরপেয়ে বাজারে সংবাদ কর্মীরা অবস্থান নিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারেন জৈন্তাপুর ক্যাম্পের কমান্ডার আব্দুর রহিম বাঁধাদেন। অপরদিকে বাজারবাসী নিজেদের আত্মরক্ষার চেষ্টা এবং আহতদের উদ্ধার করতে বিজিবিকে ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যান।

ব্যবসায়ীদের উপর হামলার ঘটনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সচেতন মহল বিজিবি জৈন্তাপুর (রাজাবাড়ী) ক্যাম্পের সদস্যরা বাজার এলাকায় অবস্থান নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ী ও পথচারীদের উপর নিবিচারে হামলার ঘটনায় জন্য নিন্দা জানান। ব্যবসায়ীদের দাবী জৈন্তাপুর উপজেলা সদরের বাজারে ৪টি কমিটি রয়েছে। কোন অভিযান পরিচালনা করতে হলে বাজার ব্যবসায়ীনেতাদের সাথে নিয়ে করতে হবে এটাই নিয়ম। যদি ব্যবসায়ী নেতারা সহায়তা না করেন তাহলে নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট নিয়ে অভিযান পরিচালনা করবেন। কিন্তু এভাবে নিজেরা চোরাই পথে আসা মহিষ ধরতে না পারায় ব্যবসায়ীর উপর চালাতে পারেন না।

এদিকে বাজার ব্যবসায়ী নূর উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, ফখরুল ইসলাম, আব্দুল মতিন বলেন, জৈন্তাপুর রাজবাড়ী ক্যাম্পের সদস্যরা মুলত সীমান্ত এলাকায় কোন প্রকার ডিউটি করেন না। তারা টহলে এসে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদ, পুশু হাসপাতাল, খাসিয়াহাটি রোডে অবস্থান নিয়ে থাকেন। মোবাইল ফোনে চোরাকারবারীদের ডেকে এনে গোপনে আর্থিক লেনদেন করেন বলে দাবী করেন।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক প্রায় ২০/২৫জন চোরাকারবারী দলের সদস্যরা বলেন, সীমান্তের এপার-ওপারে যে কোন ধরনের পণ্য, আসা যাওয়া করে সবই বিজিবির ইশারায়। বিজিবি ক্যাম্পের কয়েকজন হাবিলদার, নায়েক সুবেদার, বিএসবি, ভিআইপি সদস্য এবং তাদরে মনোনিত সোর্সদের মাধ্যমে লাইনের টাকা উত্তোলন করছেন। তাদের দাবী করেন সীমান্তে যদি শিয়াল-কুকুর প্রবেশ করে তাহলে বিজিবি জানে। বিজিবির জানানেই এমন কোন তথ্য তাদের জানার বাহিরে নয়। মুলত বিভিন্ন বাহিনী তাদের অপকর্মের তথ্য চিত্র জেনে যাওয়ায় তারা এই ঘটনাটি ঘটায়।

হামলার ঘটনায় বাজারের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দরা জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন। সুলেমান আহমদ, বাবুল মিয়া, সিরাজুল ইসলাম, সাহেল আহমদ সহ ব্যবসায়ীরা জানান, এখন হতে বিজিবি বাজারে অন্যায় ভাবে কোন হামলা করে তাহলে আমরাও বসে থাকব না। হয় মরবেন নতুবা মারবেন, বলে জানান।

এবিষয়ে জৈন্তাপুর রাজবাড়ী ক্যাম্পের কমান্ডার ঘটনার পর হতে একাধিকবার যোগোযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে ক্যাম্পে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় জেনে বাহিরে রয়েছেন বলে জানান।

কানাইঘাট সার্কেল সিনিয়র এএসপি আব্দুল করিম ও জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমদ বলেন, সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিজিবিকে পাইনি। তবে আহত অনেকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Latest from Blog

x
English version