////

মাল্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে জৈন্তাপুরের যুবকদের

18 mins read

সিলেটের জৈন্তাপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নে ঝাড়ালেবু, মাল্টা, কমলা, পেপে সহ বিভিন্ন ফলজের চাষে আগ্রহ বেকার বাড়ছে যুবকদের।
সরজমিনে জৈন্তাপুর উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে কিছু সংখ্যাক উদ্যোগতারা স্থানীয় উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শে এবং সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে ঝাড়ালেবু, মাল্টা, কমলা, পেপে সহ বিভিন্ন ফলজের উপর চাষাবাধে আগ্রহী হচ্ছেন। প্রতিনিয়ত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চাষাবাঁধ ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখাযায় অনেক শিক্ষিত ও অল্প শিক্ষিত বেকার যুবকেরা চাকুরির পিছে কিংবা বিদেশে গমনের না ছুটে কৃষি চাষাবাঁধে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছে। এরকম এক যুবক দরবস্ত ইউনিয়নের ডাইয়া গ্রামের মো. আইয়ুব আলীর ছেলে মো. ফয়েজ উল্লার সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী, কিন্তু বিগত করোনার ছোবলে পড়ে ব্যবসা অনেকটা নাই বললে চলে। তাই তিনি জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে সিলেট তামাবিল মহাসড়কের রনিফৌদ এলাকায় ৩০ শতক ভূমিতে মিশ্রবাগান প্রদর্শনী সৃজন করেন। গত সেপ্টেম্বর ২০২১ সনে উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোহেব আহমদের সুপরামর্শে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদ্পতর জৈন্তাপুর সিলেটের মাধ্যমে লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ৭০টি মাল্টা ও ২০টি কমলা লেবুর চারা দিয়ে বাগান স্থাপন করেছেন। খামার তৈরীতে প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যয় বেশি হলেও পরবতীর্তে তেমন ব্যয় নেই। শুধুমাত্র রোগ-বালাই প্রতিরোধ এবং সারের প্রয়োজন পড়বে। সটিক পরিশ্রম ও যতœ নিলেই স্থায়ী ভাবে আয়ের উৎস হয়ে উঠবে। নতুন করে আর ৬০ শতক ভূমিতে বাগান তৈরীর কাজ শুরু করেছেন। এখনও বৎসর পূর্ণহয়নি তার রোপিত মাল্টা বাগানের। তারপরও বেশ কয়েকটি গাছে ফলন এসেছে। গাছের বয়স ২বৎসর পূর্ণ হলে ভাল ফলন পাবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন। তার গাছ গুলো ভাল হয়েছে। তিনি ভাল ফলনের আশাবাদি।

কথা হয় এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোস্তাক আহমদ, নাসার্রী ব্যবসায়ী শামীম আহমদ, সোহেল আহমদ এর সাথে। তারা বলেন, প্রথমে দেখে মনে হয়েছিল মো. ফয়জ উল্লাহ পরিশ্রম করছে কিন্তু সফল হতে পারবে কি না। নাকি বাগান ফেলে চলে যাবে। কিন্তু সে প্ররিশ্রমের সাথে লেগেই থাকায় তার সৃজিত বাগানটি ভাল হয়েছে। তার অল্প দিনের বাগানটি দেখে মন ভরে যায়। আমরা অন্যান্য বেকার যুবকদের পরামর্শ দিতে চাই আপনারও মো. ফয়েজ উল্লার মত চাকুরী কিংবা বিদেশে পাড়ি না দিয়ে নিজেদের ভূমিতে বাগান সৃজন করে উদ্যোগতা হয়ে অন্যদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবেন।

উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সোহেব আহমদ বলেন, আমার কর্ম এলাকায় দরবস্ত ইউপির কৃষকদের মাঝে কৃষি ফসল চাষা বাধে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। তারা কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ পেয়ে বিদেশে না গিয়ে অল্প পুজি ব্যয়ে দীর্ঘ মেয়াদী ফলজ চাষে বাধে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। আমি কৃষক মো. ফয়েজ উল্লার মাধ্যমে এই মিশ্র বাগানটি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। এখন ফয়েজ উল্লাহ আরও ৬০ শতক ভূমিতে বাগানটি সম্প্রসারনের উদ্যোগ নিয়েছেন। আমি উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে সহযোগীতা করে যাব। তবে উপজেলার অন্যান্য ইউপিতে অনেক শিক্ষিত অর্ধ শিক্ষিত যুবকেরা মিশ্রবাগান তৈরী করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Latest from Blog

x
English version