শাবিপ্রবিতে আসছেন আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ

19 mins read

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) কর্মরত কর্মচারীদের সংগঠন শাবি কর্মচারী সমিতি এবং কর্মচারী ইউনিয়নের আমন্ত্রণে বুধবার (৩০ মার্চ) ক্যাম্পাসে আসছে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।

সোমবার (২৮ মার্চ) শাবি প্রেসক্লাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারীদের দুই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা ক্যাম্পাসে এসে কর্মচারীদের ১১ দফা দাবী নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানান নেতৃবৃন্দ।

এসময় শাবিতে কর্মরত কর্মচারী নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রীয় ফেডারেশন কর্তৃক গৃহীত ১১ দফা দাবী সাংবাদিকদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে পৌঁছানোর জন্য অনুরোধ জানান।

ফেডারেশনের ১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- স্থায়ী বেতন কমিশন গঠন পূর্বক বঙ্গবন্ধুর ঘােষিত ১৯৭৩ সালের ১০ ধাপে ১ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করা, পে-স্কেল বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ৫০% মহার্ঘ ভাতা প্রদান করা ‘বাআবিকফ’ কর্তৃক পেশকৃত খসড়া পদোন্নতি নীতিমালা অথবা সকল পাবলিক, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের নীতিমালা পর্যালােচনা করে সর্বোচ্চ সুবিধাপ্রাপ্ত অভিন্ন নীতিমালা প্রনয়ণ করা, বাংলাদেশ সচিবালয়ের ন্যায় প্রধান সহকারী-সমমান, উচ্চমান সহকারী, সমমান পদে কর্মরত কর্মচারীদের জাতীয় বেতন স্কেল (২০০৯) দশম গ্রেড বাস্তবায়ন করা, সকল পাবলিক, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়ােগ এবং কর্মচারীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ব-স্ব বেসিক সংগঠনের প্রতিনিধিদেরকে কমিটিতে রাখা, বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনকে বাৎসরিক (দশ লক্ষ) টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া, সকল পাবলিক, স্বায়ত্ত্বশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়ােগের ক্ষেত্রে জেলা কোটা অনুসরণ করা, সকল পাবলিক, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারীদের কোন কারণে সাময়িক-স্থায়ী বরখাস্ত করনের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন-শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসিক সংগঠনের প্রতিনিধি রাখা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কল্যান শাখা কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সকল পাবলিক, স্বায়ত্বশাসিত ও অধা-স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে সরকারী কর্মচারীদের ন্যায় তার পরিবারকে আট লক্ষ টাকা এবং স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে চার লক্ষ টাকা প্রদান করা, যােগ্যতা অনুযায়ী সকল পাবলিক, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরি ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে পােষ্যকোটা নিশ্চিত করা, সরাসরি নিয়ােগের ক্ষেত্রে যােগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ প্রার্থীদেরকে ৫০% অগ্রাধিকার দেওয়া, সকল পাবলিক, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের পর্যাপ্ত আবাসনের ব্যবস্থা করা।

মতবিনিময়কালে কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. সাহজাহান সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক মো. জুয়েল মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোখলেসুর রহমান মাহফুজ, সমাজসেবা সম্পাদক মো. ফয়সাল খান, সাবেক সভাপতি মো. আব্দুর রউফ, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রমজান আহমদ, সাবেক সভাপতি মো. সাদেক আহমদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন বুকসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Latest from Blog

x
English version