///

শ্রম কর্মকর্তার মৃত্যু, তথ্য দিতে নারাজ চিকিৎসক

14 mins read

হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে কাপনা পাহাড় শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ’র (৫৫)।

সোমবার (১৬ মে) বিকাল তিনটার দিকে জুড়ী উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে অসুস্থতা বোধ করলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি মারা যান।

জিন্নাহ’র বাড়ী গোপালগঞ্জ জেলার একই থানাধিন পাইক কান্দি গ্রামে। তিনি কুলাউড়া উপজেলার লুয়াইউনি চা বাগান ও কাপনা পাহাড় চা বাগান শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা। এদিকে, তাঁর মৃত্যুর বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের তথ্য দেয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা নাহিদ সুলতানা রনি।

জুড়ী উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মতিন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল তিনটার দিকে জিন্নাহ উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে একটি প্রকল্প নিয়ে কথা বলতে যান। সেখানেই গিয়েই তীব্র বুকে ব্যাথার কথা উপস্থিতদের জানালে লোকজন গাড়ীতে করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়য়ার সময় তিনি গাড়ীতেই মারা যান। পরে লুয়াইউনি চা বাগানে থাকা তাঁর পরিবারে সংবাদ দিলে স্ত্রী ও সহকর্মীরা হাসপাতালে ছুটে আসেন। এসময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। পরে লাশ স্ত্রীর কাছে বুজিয়ে দেয়া হয়।

স্ত্রী বেগম রুমিনা খাতুন জানান, জিন্নাহ সকালে ভালো অবস্থায় বাড়ী থেকে বের হয়েছেন। হঠাৎ কি থেকে কি হয়ে গেল তাঁরা বুঝতেই পারছেন না। স্বামীর আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে না পারা রুমিনা ভালো করে ‘চেক’ করতে বারবার চিকিৎসকদের কাছে আবেদন করেন। জিন্নাহ দম্পতির দু’জন ছেলে সন্তান রয়েছে।

এদিকে, জিন্নার মৃত্যুর কারণের প্রাথমিক ধারণা ও এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা নাহিদ সুলতানা রনি পরিবারের লোকজন ছাড়া কাউকেই তথ্য দেয়া যাবেনা বলে গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়ে দেন। এমনকি হাসপাতালে নেয়ার আগে বা পরে মৃত্যুর তথ্য দিতে অপারগতা জানান তিনি। এরকম মৃত্যূর তথ্য গণমাধ্যম কর্মীদের না দেয়াই ‘রুলস’ রয়েছে যোগ করেন নাহিদ সুলতানা রনি।

তথ্য না দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সমরজিৎ সিংহ বলেন ‘এরা নতুন এসেছে, সাংবাদিকদের সাথে পরিচয় নেই। এসব বাদ দিন।‘

মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোর্শেদ মুঠোফোনে বলেন ‘প্রাইভেসির কারণে প্রেসক্রিপশন বা ডকুমেন্টস হয়তো অনেক সময় দেখানো যায়না। কিন্তু গণমাধ্যমে তথ্য দিতে কোনো নিষেধাজ্ঞাতো নেই। একজন রোগী হাসপাতালে আনার আগে না পরে মারা গেছে এ তথ্য দিতে সমস্যা কোথায়?’

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Latest from Blog

x
English version