////

৩ বছরে পর্যটক দেখল জৈন্তা গোয়াইনঘাটের পর্যটন কেন্দ্র গুলো

16 mins read

মো. রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর (সিলোট) প্রতিনিধি-

করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর চারটি ঈদে বন্ধ ছিল সিলেটের সকল পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র গুলো। ভ্রমণ প্রিয় লোকজনকে বাধ্য হয়েই অনেকটা বাসা-বাড়িতে ঈদের আনন্দ-উচ্ছ্বাস করতে হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় কোনো বিধি নিষেধ নেই।

এ কারণেই ঘরে বসে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে ওঠা পর্যটকরা সিলেটে এসেছেন অনেকটা জনস্রোতের মতো। সিলেটের জাফলং জৈন্তার সকল পর্যটন কেন্দ্রই এখন লোকে লোকারণ্য। প্রকৃতিকন্যা জাফলং, লালাখাল, পান্থুমাই, ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর আর বিছনাকান্দি সব জায়গায় পর্যটকদের ভিড় দেখা গেছে। ঈদের ছুটিতে এত পর্যটক গত তিন বছরের মধ্যে দেখা যায়নি বলে জানান স্থানীয়রা।

পর্যটকের ঢল নামায় খুশি পর্যটক নির্ভর ব্যবসায়ীরা। হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ী, ট্যুর গাইড, পর্যটকদের ছবি তুলে সংসার চালানো আলোকচিত্র শিল্পীরা বলছেন, দীর্ঘ দুই বছর পর প্রাণ ফিরেছে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে।

প্রকৃতির টানে ছুটে আসা পর্যটকদের বাঁধ ভাঙা আনন্দ-উচ্ছ্বাসে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে অন্যরকম এক আবহের সৃষ্টি হয়েছে। ঈদের ছুটিতে দ্বিতীয় তৃতীয় দিনে মুখরিত হয়ে উঠেছে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্র গুলো।

পাহাড়-টিলা, নদী আর পাথর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সিলেটের গোয়াইনঘাটের জাফলং, বিছনাকান্দি, পান্থুমাই জৈন্তাপুরের সারি নদী, হরিপুরের জলাটিলা কোম্পানিগঞ্জের সাদাপাথর এবং মিঠাপানির একমাত্র জলারবন রাতার গুলের সবুজের সমারোহে পর্যটকদের ভিড় সবচেয়ে বেশি।

ঢাকার একটি বেসরকারি কলেজের প্রভাষক বলেন, দুই বছর করোনার জন্য সিলেট আসা হয়নি। এবার এসে অনেক ভালো লাগছে।
হবিগঞ্জ হতে থেকে ঘুরতে আসা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তারানা ইসলাম বলেন, ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও করোনার কারণে গত দুই বছরে সিলেট আসা সম্ভব হয়নি। ঈদে মা-বাবা, ভাই-বোনসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জাফলং এসেছি। আমার ছোট ভাই-বোনরা বাঁধ ভাঙা আনন্দ-উচ্ছ্বাস করছে।

তিনি আরও বলেন, সিলেটের বিভিন্ন স্থানে আগেও এসেছি তবে জাফলংয়ের চেহারা অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখানে স্বচ্ছ পানির নিচে জমে থাকায় ভালো লাগছে। ভারত থেকে নেমে আসা হিমশীতল পানিতে গা ভাসিয়ে দিলে এক ধরনের রোমাঞ্চকর অনুভূতি অনুভব করা যায়।

জাফলং সাব জোনের ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ শেখ মো. রতন বলেন, ঈদুল ফিতর-পরবর্তী সময়ে চারদিন সাব জোনের আওতাধীন জাফলং ভোলাগঞ্জ লালাখাল সহ পর্যটন কেন্দ্র গুলোয় স্থানীয় পর্যটক সহ ২ হতে ৫ লাখ পর্যটক থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এজন্য পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি ৷

এদিকে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম দস্তগীর আহমদ বলেন, রাস্তার যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং দূর্ঘটনা রোধে জৈন্তাপুর থানা পুলিশ সিলেট তামাবিল মহাসড়কে চোক পোষ্ট বসিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে ৷ এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে মোতায়ন রাখা হয়েছে ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Latest from Blog

x
English version