জৈন্তাপুর প্রতিদিন ডেস্ক :: সরকার কর্তৃক গৃহীত সার্বজনীন পেনশন স্কীমে নিবন্ধনে আগ্রহী হয়ে উঠছেন উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মৎসজীবি পেশার মানুষ।
শুক্রবার (১৭ই মে) দুপুর ২ টায় জৈন্তাপুর উপজেলা ভুমি অফিসে সর্বজনীন পেনশন স্কীম সেবা ডেস্কে এসে প্রথমদিন ১৪জন মৎসজীবি স্কিমে নিবন্ধন করেন।
নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জৈন্তাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) মিজ ফাতেমা তুজ জোহরা সানিয়া। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি সর্বজনীন পেনশন স্কীমের সুফল ও নিরাপত্তা নিয়ে উপস্থিত মৎসজীবিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।
পেনশন স্কীমে নিবন্ধন করতে আসা মৎসজীবি সংগঠনের অন্যতম সদস্য রুখিনী দাস বলেন, মৎসজীবি একটা চেলেন্জিং পেশা। দিন দিন এই পেশায় কাজ করে আমাদের মৎসজীবিদের আয় উন্নতি করা অনেক কঠিন।
তাছাড়া ভবিষ্যতে বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীলে কর্ম দক্ষতা হ্রাস পেলে শেষ বয়সে সকল মৎসজীবিদের আর্থিক দৈন্যদশায় কাটাতে হয়। আমরা মৎসজীবিরা উপজেলা ভুমি অফিসে এসে এসিল্যান্ড মহোদয়ের নিকট সরকার কতৃক গৃহীত সার্বজনীন পেনশন স্কীম সম্পর্কে জানতে পেরে নিজের ও পরিবারের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে স্কিমে নিবন্ধন করার আগ্রহ প্রকাশ করি। আজ প্রথম দিনে ১৪জন মৎসজীবি নিবন্ধন করলেন এবং পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল মৎসজীবিদের পেনশন স্কীমে আনতে তারা কাজ করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) মিজ ফাতেমা তুজ জোহরা সানিয়া বলেন, পেনশন স্কীমে মানুষের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যে উপজেলার ছোট বড় ব্যবসায়ী, সাংবাদিকরা তাদের নিজ নিজ সংগঠনের উদ্যোগে পেনশন স্কীমে নিজ দায়িত্বে রেজিষ্ট্রেশন করছেন। এভাবে পেশাজীবি, সামাজিক, সমবায়, শ্রমিক, ব্যবসায়ী সংঘটনের উদ্যোগে সম্মিলিত ভাবে পেনশন স্কীমে নিবন্ধনে আগ্রহী হলে ভবিষ্যতে মানুষের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।