///

ঈদের দিনে চিড়িয়াখানায় হাজারো মানুষ

12 mins read

রাজধানীর উত্তরার হাউজ বিল্ডিং এলাকা থেকে মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছে ইব্রাহীম, সাব্বির, সাকিব ও সিয়াম। তারা সবাই শিক্ষার্থী। তাদের মা–বাবা গ্রামের বাড়িতে না যাওয়ায় তারা ঢাকায় ঈদ করছে। চিড়িয়াখানায় ঘুরে তারা বাঘ, সিংহ, জিরাফ, জেব্রা, উট, হরিণ, বনগরু, শকুন, চিল, গন্ডার, কুমির, জলহস্তী, অজগর সাপ, বানর, ময়ূর, পাখি, ঘোড়া, হাতি, গাধা, কুমির দেখেছে। তাদের কথা, ঈদে চিড়িয়াখানায় আসতে পেরে তাদের অনেক ভালো লেগেছে। শুধু শিশু নয়, নানা বয়সী মানুষের ঢল নেমেছিল আজ চিড়িয়াখানায়। কর্তৃপক্ষ বলছে, এদিন প্রায় ৩৫ হাজার দর্শনার্থী এসেছে চিড়িয়াখানায়।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা যায়, পশুপাখি রাখা খাঁচার সামনে দর্শনার্থীদের জটলা। কেউ কিছুক্ষণ অবস্থান করে সময় নিয়ে দেখছেন, কেউ বা একটু দেখেই ছুটছেন অন্য পশুপাখি দেখার জন্য। চিড়িয়াখানার ভেতরের রাস্তাগুলো মানুষে পূর্ণ। শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, মধ্যবয়সী, বৃদ্ধ—সব বয়সী মানুষ ভিড় করেছে চিড়িয়াখানায়।
ছোট নাতনিসহ পরিবারের চার সদস্য নিয়ে সাভারের আশুলিয়া থেকে মিরপুর চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসেন মমতাজ বেগম। তিনি বলেন, এবার ঈদে আমরা গ্রামের বাড়িতে যাইনি। সামনের ঈদে যাব। ঈদের দিনে আনন্দ করতে চিড়িয়াখানায় নাতনিকে নিয়ে ঘুরতে এসেছিলাম। চিড়িয়াখানা ঘুরে ভালোই লাগল।
বাড্ডা থেকে পরিবারের পাঁচ সদস্যকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় ঘোরেন আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, পোলাপান আবদার করেছে চিড়িয়াখানায় আসবে৷ তাই ওদের নিয়ে এলাম। পোলাপান খুশি হয়েছে। তবে চিড়িয়াখানায় যত সুন্দর ও বেশি প্রাণী ছিল, এখন নেই।
ঈদ উপলক্ষে আজ অফিস বন্ধ থাকলেও গ্রামে যাওয়ার ছুটি মেলেনি মিরপুর ১ নম্বর এলাকার মো. লিমন শেখের। তিনি বলেন, বাসায় ছিলাম। ভালো লাগছিল না। তাই চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এলাম।
জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ও ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. মজিবুর রহমান বলেন, আজ বৃষ্টির কারণে সকালে দর্শনার্থী তেমন ছিল না। বৃষ্টি কমে যাওয়ার পর দর্শনার্থীদের চাপ শুরু হয়, সেটা বিকেল পর্যন্ত অব্যাহত আছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় এসেছে। এ সময় ৯ শিশু হারিয়ে গিয়েছিল। তাদের উদ্ধার করে অভিভাবকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Latest from Blog

x
English version