/

অবশেষে ‘অঘোষিত’ বন্ধ কক্সবাজারের পর্যটন

16 mins read

নতুন করে কক্সবাজার জেলায় গত মার্চ মাসে ৫১৯ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। ৩১ মার্চ একদিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ জন। এদের মাঝে ৪১ জন কক্সবাজারের বাসিন্দা। এছাড়া রোহিঙ্গা আক্রান্ত হয়েছে একজন। বাকি একজন চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার। ফলে, ধীরে ধীরে সংকোচিত করে ফেলা হচ্ছে পর্যটন স্পটে বেড়ানো।

ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সেন্টমার্টিনে পর্যটনবাহি জাহাজগুলো। গুটিয়ে ফেলা হয়েছে সৈকতের বালিয়াড়িতে পর্যটকদের বসার জন্য সাজানো কিটকট চেয়ার। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে কক্সবাজার শহরে গণজমায়েত রদ, যানবাহনে অতিরিক্ত যাত্রিবহন রোধসহ সৈকত ও হোটেল-মোটেল জোন এবং পর্যটনস্পট গুলোতে কার্যক্রম অব্যহত রেখেছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ। মাঠে নেমেছে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে জেলা পুলিশও। এমনটি জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহিদ আহসান। কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, গত এক মাসে সারাদেশের মত কক্সবাজারেও করোনা আক্তান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এটা ক্রম উর্ধমুখী। পরিসংখ্যান মতে গত ১ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত মোট ১৩ হাজার ৭৭ জন পরীক্ষার আওতায় এসেছেন (গড়ে ৪২২জন)। এর মাঝে পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে ৫১৯ জনের। কক্সবাজারে করোনা পরিস্থিতি কঠিনের দিকে যাচ্ছে। এ মূহুর্তে সকলের সচেতন হওয়া খুবই জরুরী। করোনার ঠিকাদান বিষয়ে সিভিল সার্জন বলেন, কক্সবাজারে করোনার টিকা এসেছে ৮৭ হাজার ২২৮টি, প্রয়োগ করা হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার জনকে। ৯ কেন্দ্রে ২৬টি বুথে এ টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সৈকতে গোসলকালীন ভেসে যাওয়া বিপদাপন্ন পর্যটক সেবায় থাকা সী সেইফ লাইফ গার্ডের সুপারভাইজার মোহাম্মদ ওসমান বলেন, শুক্র-শনিবার ছুটির দিন ছাড়াও প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক ও স্থানীয় ভ্রমণপিপাসু কক্সবাজার সৈকতে আসেন। করোনা কালে সতর্কতার জন্য মাস্ক পরার কথা থাকলেও হাতেগোনো কয়েকজন ছাড়া সিংহভাগই মাস্কহীন।

এদিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া সুলতানা, সৈয়দ মুরাদ হোসেনসহ বেশ কয়েকজন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পাশাপাশি মাইকে প্রচারণাও চালাচ্ছেন। মাস্ক সরবরাহ করে সচেতনতার পাশাপাশি জরিমানাও করছেন তারা।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, সচেতনতার বিষয়ে উদাসীনতার কারণে কক্সবাজারে করোনার প্রাদূর্ভাব বাড়ছে। যানবাহন চালক, যাত্রী ও পথচারীদের মাস্ক পরিধান নিশ্চিত এবং জনসমাগম সীমিত করতে জেলা প্রশাসনের মতো পুলিশও মাঠে কাজ করছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, আপাতত সরকারের জারি করা ১৮ নির্দেশনা মত সৈকতে পর্যটক সমাগম সীমিত করার জন্য কাজ চলছে। আগের মত সৈকতে জনসমাগম হতে দেয়া হচ্ছে না। জেলা প্রশাসনের একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে প্রতিদিন। করোনার প্রাদূর্ভাব তীব্রতর হতে থাকলে অন্য জেলার মতো পর্যটন কেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Latest from Blog

x
English version