কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক মারধরের মামলায় জেলা ছাত্রলীগ নেতা সাদ গ্রেপ্তার

12 mins read

কুষ্টিয়ায় সংবাদ সংগ্রহে বাধা ও সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় করা মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদ আহমেদকে (৩১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোররাত চারটার দিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর তাঁকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

সাদ আহমেদ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের দাবিড়াভিটা গ্রামের মওলা মণ্ডলের ছেলে।

৬ ডিসেম্বর রাতে দীপ্ত টেলিভিশনের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি দেবেশ চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় সদ্য বিলুপ্ত কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ আহমেদকে প্রধান আসামি করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে।

এলাকায় এসবি পরিবহন কার্যালয়ের সামনে দেবেশসহ কয়েকজন সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করতে যান। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা সাদ আহমেদসহ আসামিরা মোটরসাইকেলে করে হকিস্টিক, লাঠিসোঁটাসহ এসবি কাউন্টারের সামনে যান। তাঁরা বাস কাউন্টারে ভাঙচুর চালান। দীপ্ত টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান সেই দৃশ্য ধারণ করতে থাকেন। সাদ সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেন। দেবেশ ও ক্যামেরাম্যান হারুন উর রশীদকে মারধর এবং ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। সাংবাদিক দেবেশ চন্দ্র সরকার ও ক্যামেরাম্যান হারুন উর রশীদকে আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পর সাদ আহমেদ আত্মগোপনে চলে যান। তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছবি পোস্টসহ নিয়মিত স্ট্যাটাস দিতেন।

সাদকে গ্রেপ্তারের অভিযানের নেতৃত্ব দেন কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, গতকাল সোমবার রাতে সাদ আহমেদের গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের খবর পেয়ে কৌশলে রাত ১২টার দিকে মোটরসাইকেলে করে তিনি পাশের চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা শহরের বাবুপাড়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে আজ ভোররাত চারটার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, সাদ আহমেদকে আজই আদালতে নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Latest from Blog

x
English version