
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে গত এক সপ্তাহে ছয়জন নারী পুরুষের শরীরে ডেঙ্গুর পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। ছয়জনের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দুজন ভর্তি হয়েছেন। বাকিরা নিজ নিজ বাসা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজনদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০জন নারী পুরুষ হাসপাতালের বহিবিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন। এদের মধ্যো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু জ্বর পরীক্ষা করানো হলে ছয়জন নারী পুরুষের শরীরে ডেঙ্গুর পজেটিভ শনাক্ত হয়। উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহজাহান মিয়ার ছেলে সানি আহমেদ (২২) ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত মঙ্গলবার (২৫জুলাই) বিকেল থেকে ও ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নের লংকা পাথারিয়া গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে লিমন মিয়া(২০) বুধবার (২৬জুলাই) থেকে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরুষ ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়া দুজন রোগী মশারি টানিয়ে শুয়ে রয়েছেন।
উপজেলার মাস্টারবাড়ী ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ গোলাম জিলানী বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে প্রচারণা কার্যক্রম চোখে পড়ার মত নয়। হাসপাতালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যেই রোগীরা চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছে। দ্রুত এ ব্যাপারে প্রযোজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রাজেশ সিংহ মিথুন বলেন, গত এক সপ্তাহে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছয়জন নারী পুুরুষের শরীরে ডেঙ্গু জ্বর শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদেরকে ডেঙ্গুর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা হচ্ছে। অপর চারজন বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, ঢাকা, চট্রগ্রাম ও রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যারা জ্বর নিয়ে এলাকায় এসেছেন তাঁদেরকে অবশ্যই ডেঙ্গুর পরীক্ষা করানো উচিত। যারা বাসায় থেকে ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা নিচ্ছেন তাঁদেরকে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে। তবে এ উপজেলায় এখনো ডেঙ্গু নিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচারণা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে জন সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি অনুযায়ী যা যা করণীয় তাই করা হবে।