ট্রাক চালক কর্তৃক চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীর সুপারি ছিনতাইর ঘটনায় নুরুজ্জামানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই
চট্টগ্রাম হতে ভাড়ায় নিয়ে আসা সুপারি পৌঁছে দেওয়ার কথা সিলেটের কাজীর বাজারে। কিন্তু ট্রাক চালক টাকার লোভে পড়ে জৈন্তাপুরের বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে আতাঁত করে সুপারী বিক্রয় করে দেয়৷
এ ঘটনায় চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী ট্রান্সপোর্ট কর্তৃপক্ষকে সাথে নিয়ে চট্টগ্রামস্থ কোতোয়ালী থানায় ট্রাক চালক, ট্রাক হেলপার ও ট্রাকের মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ৷
অভিযোগের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানা ও জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন ক্রেতাদের নিকট হতে ব্যবসায়ীর সুপারি উদ্ধার হয়।
বিশ্বস্থ সূত্র নিশ্চিত করে ঘটনার সাথে ট্রাক চালক একক ভাবে জড়িত নয় তার সাথে জড়িত আছে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের চালক, মালিক ও ভাড়ার মধ্যস্ততাকারীরা একটি সক্রিয় চক্র ৷ এছাড়া ২বৎসর পূর্বে এই চালক চট্টগ্রাম হতে একট্রাক চিনি ভাড়ায় সিলেটে নিয়ে এসে লাপাত্তা হন ৷ তারই ধারাবাহিকতায় পূর্বের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এই চক্রের সহায়তায় সুপারী উধাও করেন ৷
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এনিয়ে ফায়দা লোভী একটি চক্র ঘটনাকে পূর্ণ না জেনে সংশ্লিষ্ট পুলিশের সাথে আলোচনা না করে বিভিন্ন ফেইক আইডি এবং ট্রাক চালকের নিকট হতে সুপারী ক্রেতাদের আইডি হ্যাক করে উপজেলার বিভিন্ন ব্যক্তির নাম ও ছবি ব্যবহার করে মিথ্যা ভিত্তিহীন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়ে ব্যবসায়ীদের মান সম্মান এবং উপজেলার সুনাম নষ্ট করছে ৷
প্রকৃত অর্থে সুপারি আত্মসাতের ঘটনায় মূলত ট্রাক চালক ও ট্রাক হেলপার এবং ট্রাকের মালিক জড়িত বলে প্রতিয়মান পরিলক্ষিত হয়৷ সুপষ্ট প্রমাণ হল ব্যবসায়ীর মামলায় উল্লেখিত ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ রয়েছে ৷ অল্পমূল্যে ট্রাক চালকের নিকট হতে সুপারী ক্রয় করে বাড়ীতে বা গোডাউনে রাখার দায়ে পুলিশ এসব গোডাউন অভিযান পরিচালনা করে সুপারী উদ্ধার করে৷ এবং গোডাউন মালিকদের সন্দেহ মূলক আসামী করেছে ৷ মামলা সংশ্লিষ্ট কাজপত্রে পর্যালোচনা করে দেখা যায়৷
৮০ লাখ টাকা মূল্যের দুইশত বস্তা সুপারির সাথে কোনো যোগসাজশ বা সম্পৃক্ততা নেই এমনকি উদ্ধার হওয়া বিবরনীতে যাদের নাম বা ঘটনায় সম্পৃক্ত নন তাদের ছবি নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ফেইক আইডি ও পেইজ হতে এমনকি কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল হতে তাদের নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে ৷ যাতে করে পুলিশ সাধারন মানুষ সচেতন মহলকে প্রশ্নবৃদ্ধ করা হয়৷
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে একটি চক্র জৈন্তাপুর উপজেলার মানিকপাড়া গ্রামের কুতুব উদ্দীনের ছেলে ব্যবসায়ী নুরুজ্জামানকে জড়ীয়ে তার ছবি ব্যবহার করে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে ৷ স্থানীয় কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল সংবাদ প্রকাশ করো৷
সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান সহ নিকত্মীয়দের ৷ তারা প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানান ৷ প্রতিবাদলিপিতে নুরুজ্জামান বলেন, জৈন্তাপুরে চট্টগ্রামের ১ ট্রাক সুপারী উদ্ধার নিয়ে আমাকে জড়িয়ে ফেইসবুক ও সহ অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে যা প্রচার হয়েছে তা আদৌ সঠিক নয়। যে বা যারা এসব মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রচার করেছেন আমি তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
একটি কুচক্রী মহল আমাকে জড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেইক আইডির মাধ্যমে ও পত্র-পত্রিকায় এসব অপপ্রচার করেছে। উক্ত সুপারী ছিনতাইয়ের সাথে আমার বিন্দু মাত্র জড়িত নই। যার প্রমাণ সুপারী উদ্ধার অভিযানে চট্টগ্রাম ও সিলেটের জৈন্তাপুর থানা পুলিশ প্রশাসন আমার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা পায়নি। উদ্ধার অভিযান শেষে মামলার এজাহার ও এফআইআর-এ আমার কোনো নাম নেই। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে জড়িয়ে জৈন্তাপুরের ব্যবসায়ী অপপ্রচার করেছেন। আমি এর নিন্দা জানাচ্ছি।
অন্য প্রশ্নের জবাবে নুরুজ্জামান আরও বলেন- আমার পিতা মো. কুতুব উদ্দিন একজন পুরাতন গাড়ী ব্যবসায়ী। আমার বাবার হাতে গড়া ব্যবসা পরিচালনা করে আমি বর্তমানে বৈধভাবে এলসি’র মাধ্যমে তামাবিল শুল্ক স্থল বন্দরে সততার সাথে পাথর ব্যবসায়ী ব্যবসা করছি। সীমান্তের চোরাকারবারের সাথে আমার কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই।আনিকা এন্টারপ্রাইজ নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিধিমোতাবেক ব্যবসা সংক্রান্ত সরকারি সকল নীতিমালা মোতাবেক অনুমোদন নিয়ে আইআরসি ও টিন সার্টিফিকেটের মাধ্যমে সরকারের ট্যাক্স দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। একটি মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আমাকে সমাজে হেয় করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ও পত্র-পত্রিকায় মিথ্যা অপপ্রচার করেছে।
মিথ্যা অপপ্রচার হতে বিরত থাকার জন্য সকল মহলের প্রতি অনুরোধ জানান। অন্যথায় তিনি তথ্য প্রযুক্তি আইনের মাধ্যমে এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন।