জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদের বিশেষ বরাদ্ধে তিন গ্রামবাসী চলাচলের জন্য পেয়েছিল দেড়কিলো নতুন রাস্তা। সেই রাস্তাটি পাহাড়ি ঢলে ধোঁয়ে নিয়ে গেল।
সরেজমিনে জৈন্তাপুর উপজেলার হর্নি, বাইরাখেল ও নয়াগ্রামের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ২০২১ সনের ফেব্রয়ারী মাসে বিশেষ বরাদ্ধ হতে দেড় কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করেছিলেন। অতিবৃষ্টি ও উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সম্পূর্ণ রাস্তাটি ধোঁয়ে নিয়ে গেছে বন্যার পানি। বন্যায় ফের রাস্তাটি ধোঁয়ে নেওয়ায় তিন গ্রামের বাসিন্ধারা পড়েছে বিপাকে। এলাকার বসিন্ধা আজিজুর রহমান, সেলিম আহমদ, নূর আহমদ, আব্দুর রহিম, ইদ্রিছ আলী, নজরুল ইসলাম সহ ১০/১২ জনের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, নির্বাচনের পূর্বে আমরা চেয়ারম্যানের কাছে শর্ত স্বাপেক্ষে বলেছিলেন রাস্তা করে দিলে আমরা আপনাকে ভোট দিব। চেয়ারম্যান ওয়াদা দিয়েছিলেন তিনি নির্বাচিত হলে সবার প্রথমে এই রাস্তাটি হবে। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন, কথা অনুযায়ী আমরা রাস্তা পাই, কমেছিল আমাদের দূর্ভোগ। স্বাধীনতার পূর্ববর্তী হতে তিন গ্রামবাসী ছিল রাস্তা বঞ্চিত। ২০২১ সনের শুরুতেই রাস্তা পেয়ে আমাদের স্বপ্ন পূরণ হল। পাহাড়ী ঢলে আমাদের চলাচলের সুবিধার জন্য নির্মিত রাস্তাটি বন্যার পানিতে ধোঁয়ে নিয়ে গেল। খবর পয়ে বিষয়টি সরেজমিনে উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ পরিদর্শন করে এবং রাস্তাটি ধোঁয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন। এলাকাবাসীর বলেন দ্রæত সময়ের মধ্যে আমাদের তিন গ্রামবাসীর চলাচলের রাস্তাটি নির্মানের দাবী জানান।
জৈন্তাপুর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ বলেন, শুধুমাত্র রাস্তাটির ধোঁয়ে নিয়ে গেছে এমন নয়। বিশেষ করে উপজেলার সব কয়েকটি রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে রাস্তাটি যত দ্রুত নির্মাণ করা যায় সেজন্য আমি মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে লিখিত আবেদন করব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল বশিরুল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসী বিষয়টি আমাদেরকে জনিয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি পরিদর্শন করে নির্মানের জন্য মন্ত্রী মহোদয় সহ উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব প্রেরণ করা হবে।